X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান কাঁপানো আন্দোলনের নেতৃত্বে নারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১৮আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১৮

ইয়াসি’র জন্য খবরটি অগ্রাহ্য করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছে: পোশাকবিধি অনুসারে মাথার চুল না ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের তরুণীর মৃত্যু। 

আমিনির মৃত্যুর পর যখন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, ২০ বছর বয়সী ইয়াসি–তার পরিবারে প্রথম নারী হিসেবে হিজাব প্রত্যাখ্যান করেন–ছুটে যান রাজপথে, প্রকাশ্যে নিজের স্বর্ণালী চুল ঢেকে রাখতে যে চাদর ব্যবহার করতেন তা হাতে নিয়ে উড়িয়েছেন, দেশের আইনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রাজধানী তেহরানে প্রতি রাতেই বিক্ষোভ হচ্ছে টানা কয়েকদিন ধরে। ইয়াসি’র পরিবারের আবাসিক ভবনে সামনেই জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তেহরান থেকে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াসি বলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমিও মাহশা হতে পারি; আমার কোনও বন্ধু হতে পারে, আমার কোনও জ্ঞাতিবোন হতে পারে। কেউ জানে না গ্রেফতারের পর কী আচরণ করে তারা (নৈতিকতা পুলিশ)।

ইরানজুড়ে ছড়িয়ে চলমান বিক্ষোভে দেশটির স্বৈরাচারী নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বিক্ষোভটি টানা ১১ দিনেরও বেশি চলমান। শুধু মাহশা আমিনির হত্যাকাণ্ড বা কঠোর পোশাকবিধি নয়, প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভের নেপথ্যে আরও বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে: ভেঙে পড়া অর্থনীতি, ব্যাপক দুর্নীতি, মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন প্রবীণ ধর্মীয় নেতার জারি করা সামাজিক বিধিনিষেধ ও শ্বাসরুদ্ধকর দমন। সোমবারও বিক্ষোভকারীরা পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। আন্তর্জাতিক নিন্দা ও সমালোচনার পরও সরকারের কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন থেকে বিরত থাকছে না। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভে অনেক নারী নিজেদের হিজাব পোড়াচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

জনগণের মধ্যে থাকা ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয় ১৬ সেপ্টেম্বর মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর। তার মৃত্যুর সঙ্গে দেশটির হিজাব আইন পড়েছে বিরোধিতার মুখে। ইরানে রাজনীতি, অভিভাবকত্ব, অফিস ও বাসায় নারীদের দ্বিতীয় সারিতে ফেলা সবচেয়ে প্রকাশ্য ধর্মশাসন এই হিজাব ও পোশাক আইন।

চলমান প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের জ্বালানো আগুনে অনেক নারী তাদের হিজাব পোড়াচ্ছেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সামনে চুল খুলে নাচছেন, যা শাসকদের প্রতি প্রকাশ্য অবাধ্যতার সুনির্দিষ্ট চিত্র হাজির করছে। 

এর আগেও ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন ইরানের নারীরা। কিন্তু এর আগে কখনও বিক্ষোভ এত জোরালো ছিল না। এবারের বিক্ষোভে তারা নেতা ও তারাই কর্মী। এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন নারী বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন, নিহতও হয়েছেন কয়েক জন নারী বিক্ষোভকারী।

ইরানের একটি দৈনিক পত্রিকার নারী সাংবাদিক নিলুফার হামেদি প্রথম মাহশা আমিনির খবর আলোচনায় নিয়ে আসেন। গত সপ্তাহে হামেদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তাকে এভিন কারাগারে নির্জন কারাকক্ষে বন্দি রাখা হয়েছে।

ইসফাহানের ২৮ বছর বয়সী মানবাধিকারকর্মী গোলশান প্রতি রাতে বন্ধুদের ছোট একটি দল নিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের স্লোগানের মধ্যে রয়েছে, ‘হিজাব না, নিপীড়ন না, শুধু সমান অধিকার’। তিনি বলেন, আমি তরুণীদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ ও রাগ রাগ দেখতে পাচ্ছি।

বিক্ষোভের প্রথম রাতে গোলশান ও আরও ৫০ জনের মতো নারী একটি সড়কের মোড় অবরোধ করেন। তারা পুরুষদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। এক ব্যক্তি আগুন জ্বালান। এরপর অনেক পুরুষ একে একে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীদের হর্ষধ্বনির মধ্যে নারীরা তাদের মাথা থেকে হিজাব খুলে ফেলেন, মাথার ওপর সেগুলো উড়াতে থাকেন এবং শেষে আগুনে ছুড়ে মারেন।

গোলশান বলেন, আমরা চাই আমাদের কথা শোনা হোক। আমাদের কোনও একজন নির্দিষ্ট নেতা নেই। আমাদের এই আন্দোলনের শক্তি ও সৌন্দর্য হলো এখানকার প্রত্যেকেই আমরা একজন নেতা।

১৯৭৯ সালে ইরানের বিপ্লবের পর হিজাবের বিরোধিতায় নারীরা। ছবি: এপি

উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ মাজানদারানের ৩৪ বছর বয়সী শিল্পী মরিয়ম। তিনি ও তার বন্ধুরা শুধু তাদের হিজাব পোড়াননি, তারা তাদের লম্বা চুল কেটে ফেলেছে এবং মাথা ন্যাড়া করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঘোষণা যার ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। আপনারা আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না এবং আমার চুল নিয়ে কী করব আপনারা নির্ধারণ করে দিতে পারেন না।’

রক্ত দিয়ে প্রকাশ্য অবাধ্যতার মূল্য দিতে হচ্ছে নারীদের। শনিবার রাতে দাঙ্গা পুলিশ ব্যাটন দিয়ে গোলশানকে আঘাত করে। এতে তার মাথা ঘোরা, ব্যথা ও ঘাড় নড়াচড়া করতে পারছেন না।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবে চরম রক্ষণশীল মুসলিম ধর্মীয় নেতারা ক্ষমতায় আসার দুই বছর পর এক আইন জারি করা হয়। আইনটি অনুসারে, নারীদের সরকারি অফিসে হিজাব পরতে হবে। এরপর শরিয়াহ আইন অনুসারে ৯ বছরের বেশি বয়সের সব মেয়ে ও নারীদের জন্যও এই আইনটি কার্যকর করা হয়। তাদের দাবি, হিজাব নারীদের সতীত্ব এবং সম্মান রক্ষা করবে।

কিন্তু এটি শাসকদের দুর্বলতার ক্ষেত্র হয়ে ওঠেছে। এটি সামাজিক বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বৈষম্যের প্রতীক হয়ে ওঠে।

দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের নারীরা হিজাব বাধ্যতামূলক আইনের বিরোধিতা করে আসছেন। নারী আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়াসও ছিল। কিন্তু সফলতা খুব একটা ছিল না। নারীর চেয়ে সহজে পুরুষের বিবাহবিচ্ছেদের সুযোগ, সন্তানের লালন-পালনে পুরুষের একচ্ছত্র অধিকার, পুরুষদের বহুবিবাহে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানো এবং মেয়ে ও নারীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্বামী বা বাবার অনুমতির মতো আইনের বিরোধিতা করে আসছেন নারীরা।

কিন্তু এবারের বিক্ষোভ অতীতের সাধারণ অ্যাক্টিভিস্টদের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।

এবারের বিক্ষোভে নারীরা রয়েছেন সামনের সারিতে। ছবি: এপি

ইয়াসি’র মা মিনো দেখছেন তার মেয়ের মধ্যে নিহত আমিনিকে দেখতে পান। তিনি একটি অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। এই আবেদনে ধর্মের প্রতি অনুগত নারীরা নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্ত ও বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন। মিনো বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় হিজাব পরেন। কিন্তু এটি পরা বা না পরার অধিকার তার থাকা উচিত, সরকারের নয়।

মিনো বলেন, আমরা যা ভাবি তা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত না। আমি ধার্মিক। কিন্তু শাসকরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের আবর্জনার মতো বিবেচনা করে যে আচরণ করে যাচ্ছে, তাদের এই ভণ্ডামি ও মিথ্যাচারে আমি হতাশ।

বেশ কয়েকটি রাতে তিনি ইয়াসি ও তার বন্ধুদের তেহরানে বিক্ষোভে যোগ দিতে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার নাহিদা (৬৫) প্রতি রাতে বিক্ষোভকারীদের জন্য স্যান্ডউইচ বানান ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে আসেন। তিনি বলেছেন, যেসব নারীরা সরাসরি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তারা বিক্ষোভকারীদের নিজেদের বাড়িতে রাতে থাকার সুযোগ দিচ্ছেন, যাতে করে তারা নিরাপত্তাবাহিনীকে এড়িয়ে থাকতে পারে। শরবত ও কেক দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করছেন।

অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, নারীদের এবারের এমন প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়েছে কয়েক দশকের নীরবতা, তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগের ফলে। যদিও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারকর্মীরা হয় কারাগারে বা নির্বাসনে রয়েছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শাসনামলে তরুন ইরানিরা কিছুটা শিথিলতায় বসবাসের সুযোগ পেয়েছিলেন। ওই সময় নৈতিকতা পুলিশের কঠোরতা ছিল কম। হিজাবের নিচের দিকে নারীদের লম্বা চুল দেখা যেত। মেকআপ ভারী হয়েছে, ছোট হয়েছে নারীদের পায়ের পোশাক। এক সময় গাঢ় ও বিবর্ণ পোশাকে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা উজ্জ্বল, গোলাপী, এমব্রয়ডারি করাতে গড়ায়।

সম্প্রতি অনেক নারী আরও এগিয়ে যাওয়ার মতো সাহস দেখাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে রেস্তোরাঁ হিজাব খুলে ফেলছেন। কেউ কেউ গাড়িতে চলাচলরত অবস্থায় ইয়াসি’র মতো হিজাব খুলছেন।

পুলিশি হেফাজতে নিহত মাহশা আমিনি। ছবি: বিবিসি

নির্বাসনে থাকা প্রবীণ ইরানি নারী অধিকারকর্মী সুসান তাহমাসেবি বলেন, ইরানের নারীরা কখনও রাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া আদর্শ হিজাব পরিধানের বিষয়টি মেনে নেয়নি। এখন আমরা দেখছি তরুণ প্রজন্ম হাজির হয়েছে, যারা নিজেদের শারীরিক অধিকার সম্পর্কে ভাবছে। আর হিজাব হলো তাদের শারীরিক অধিকারের সবচেয়ে দৃশ্যমান বস্তু।

রুহানির শাসনামলে হিজাব আইন অমান্যকারীদের জরিমানা, গ্রেফতার ও মৌখিকভাবে সতর্ক করা হত। কিন্তু রক্ষণশীলরা এটি পরিবর্তনের জন্য উদগ্রিব ছিলেন। চরম রক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসি এক বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে সামাজিক ও ধর্মীয় শাসনের বাস্তবায়নে কঠোর হয়েছেন।

জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট এক নির্দেশ জারি করেন। তাতে সব দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে হিজাব আইন বাস্তবায়নের একটি কৌশল নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। তার মতে, এই আইন অমান্য করলে ইসলামি প্রজাতন্তের মূল্যবোধের ক্ষতি হয় এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়।

ইরানের প্রধান প্রসিকিউটর ঘোষণা দিয়েছেন, উপযুক্ত পন্থায় মাথা না ঢাকা নারীদের সাবওয়েসহ সামাজিক ও সরকারি সেবা থেকে বিরত রাখা হবে। নির্দেশনা মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে বিজ্ঞাপনে নারীদের দেখানো যাবে না।

এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা শুধু দেশটির সেক্যুলার শিবির থেকে আসেনি, ধার্মিক ও রক্ষণশীল ইরানিরাও এর বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, এগুলো সরকার ও জনগণের মধ্যে বিভেদ বাড়াবে।  

কিন্তু ধর্মীয় নেতাদের শাসন ব্যবস্থা ছিল অনঢ়। বিরোধিতাকারীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপের ওপর দায় চাপানো হয়। গত মাসে ইব্রাহিম রাইসি বরেছেন, ইসলামি ইরানের ইতিহাসে, ইরানের নারীদের জীবনে সব সময় হিজাব ও সতীত্ব সমান্তরাল ছিল।

হিজাব বিরোধিতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি চলমান বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

আমিনি নিহতের কয়েক মাস আগে থেকেই দমন-পীড়ন জারি ছিল। হিজাব না পরা নারীদের জন্য ক্যাফের দরজা বন্ধ ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, নৈতিকতা পুলিশ নারীদের অপমান করছে, পেটাচ্ছে এবং উপযুক্ত পন্থায় হিজাব পরার শিক্ষা দিতে তাদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রেফতার হওয়া এক নারীর মা চলন্ত পুলিশ ভ্যানে সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলছেন, আমার মেয়ে অসুস্থ। দয়া করে তাকে নিয়ে যাবেন না।

২৮ বছর বয়সী লেখিকা সাপিদেহ রাশনো একটি বাসে নিজের মাথার হিজাব খুলেছিলেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘অনুপযুক্ত পোশাকের’ জন্য রক্ষণশীল পোশাক পরা অপর এক নারী তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন। পরে রাশনোকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। এতে ওই ঘটনার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে। কিন্তু তার মুখে ছিল দাগ এবং চোখ ঘিরে গোলাকার গোলাপী চিহ্ন।

তার এই ঘটনাতেও জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবারের বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হিজাব নিয়ে রক্ষণশীলতার গণ্ডি অতিক্রম করে পুরো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

ইরানি-কানাডীয় নারীবাদী লেখিকা নাজলি কামভারি বলেন, হিজাব হলো একটি প্রতীকী বস্তু, যা নারীদের সামনে ও কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। তারা যেসব বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছেন এটি সেগুলোর সঙ্গে তাদের যুক্ত করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে।

/এএ/
সম্পর্কিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করলো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
সর্বশেষ খবর
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে ইসলামী আন্দোলন
৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ওলামা দলের আংশিক কমিটি দিয়েছে বিএনপি
ওলামা দলের আংশিক কমিটি দিয়েছে বিএনপি
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী