সরকারের প্রস্তাবিত বিচারিক সংস্কারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ইসরায়েলে। জেরুজালেম, হাইফা, বের্শেবা এবং তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে শনিবার বিক্ষোভে নামেন কয়েক লাখ ইসরায়েলি।
‘ইসরায়েলকে একনায়কত্বে পরিণত করার প্রচেষ্টা’ প্রতিহত করার জন্য বিক্ষোভের আয়োজকেরা শুক্রবার চলতি সপ্তাহকে ‘প্যারালাইসিস সপ্তাহ’ ঘোষণা করে।
আয়োজকদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, সমাবেশে আনুমানিক ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া বলছে, কেবল রাজধানী তেল আবিবেই সমাবেত হয়েছিল ২ লাখ ইসরায়েলি।
Tel Aviv, today. Estimated as the largest protest in the history of Israel pic.twitter.com/2CEGz4cl2b
— Danel Lushi (@DanelLushi) March 25, 2023
আরটি’র খবরে বলা হয়, তেল আবিবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে এক পর্যায়ে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় আটক করা হয় ২৮ জনকে। তবে আন্দোলনকারীদের আইনি সহায়তা প্রদানকারী আইনজীবীদের একটি দল দাবি করেছে, আটকের প্রকৃত সংখ্যা ৪৪।
ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সতর্ক করে বলেছিলেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিষয়টি ক্রমশ বিভেদমূলক হয়ে উঠেছে। গভীর বিভাজন সামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দেখা যাচ্ছে। এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য একটি সত্যিকারের বিপদ।
বিচারব্যবস্থার সংস্কারের ফলে নির্বাচিত সরকার বিচারকদের ওপর প্রভাব বজায় রাখার ক্ষমতা পাবে। নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা আইনপ্রণয়নের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাও খর্ব করা যাবে এ সংস্কারের ফলে। এ পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক বিভেদ তৈরি হতে পারে। আর তা নিয়েই নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে সংস্কার এনে পার্লামেন্টে নিজেদের জায়গা করে নিতে চায়। তারা বিচারব্যবস্থার রাজনৈতিকীকরণ করবে ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের দিকে দেশকে নিয়ে যাবে। সূত্র: আরটি