যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান কিংবা হুমকি উভয়ই উপেক্ষা করে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বেসামরিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সর্বশেষ রবিবার রাফাহ শহরের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই ঘটনার পর আবারও বেসামরিকদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কেননা, ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্রের চালান বন্ধ করার জন্য নিজ দলের কর্মীদের চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেদের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইসরায়েলের হামাসকে ধাওয়া করার অধিকার আছে। এই হামলায় হামাসের দুই জ্যেষ্ঠ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন যারা ইসরায়েলি বেসামরিকদের ওপর চালানো হামলার জন্য দায়ী।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ বিষয়টিও আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, ইসরায়েলকে অবশ্যই বেসামরিকদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নিজের দলের মধ্য থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি রবিবার রাতে হওয়া বিমান হামলার আগেও এ নিয়ে বাইডেনকে চাপ দেন তার সহকর্মীরা। রাফাহ শহরের শরণার্থী শিবিরে রবিবারের ওই হামলায় ৪৫ জন নিহত হন।
মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের একজন বিশিষ্ট ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ। সোমবার এই হামলাকে ‘একটি অবর্ণনীয় নৃশংসতা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি পোস্টে আলেকজান্দ্রিয়া বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও সামরিক সহযোগিতা স্থগিত করার উদ্যোগ নিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি পোস্টে প্রতিনিধি আয়ানা প্রেসলি বলেছেন,‘গত রাতে রাফাহ থেকে ভয়ঙ্কর সব ছবি এসেছে।’ এসময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও ক্ষত-বিক্ষত করার সময় আর কতদিন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র?’
কংগ্রেসে একমাত্র ফিলিস্তিনি-আমেরিকান প্রতিনিধি রাশিদা তালাইব। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যা চালাতে মরিয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বেসামরিক হতাহতের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। তবে ‘দুঃখজনকভাবে ভুল’ করে তা ঘটেছে।