গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সম্ভাব্য একটি যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় বিলম্বের জন্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার (১০ জুন) কায়রোতে তিনি বলেছেন, একমাত্র হামাস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলকে চাপ দিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সোমবার কায়রোতে তিনি মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর তিনি ইসরায়েল সফর করবেন। সেখানে তার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
মিসর থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সরকার ও জনগণের প্রতি আমার বার্তা হলো, আপনারা যদি যুদ্ধবিরতি চান তাহলে হামাস সম্মতি দিতে চাপ দিন।
তিনি আরও বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের অবসান চাইলে হামাসকে রাজি হতে চাপ দিন। আপনারা যদি সব জিম্মির মুক্তি চান তাহলে হামাসকে হ্যাঁ বলতে চাপ দিন। আপনারা যদি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে শান্তি ও সুরক্ষা চান তাহলে হামাসকে রাজি হতে চাপ দিন।
ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের সিনিয়র নেতা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ব্লিঙ্কেনের মন্তব্য ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের একটি প্রমাণ। গাজায় যে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদাররা তা আড়াল করছে এই মন্তব্য।
৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাবের পর এই সফরে আসছেন ব্লিঙ্কেন। বাইডেনের পরিকল্পনায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধের লক্ষ্য, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন।
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বেনি গান্তজের পদত্যাগের ঘোষণার পর ইসরায়েল সফর করবেন ব্লিঙ্কেন। গান্তজ রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তার পদত্যাগে নেতানিয়াহুর জোট সরকারের জন্য কোনও হুমকি নয়। তবে এতে করে নেতানিয়াহুকে আরও বেশি কট্টরপন্থিদের ওপর নির্ভর করতে হবে। অতীতের ইসরায়েল সফরে গান্তজের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ব্লিঙ্কেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, সফরে অংশীদারদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি একটি সমঝোতায় পৌঁছানো এবং সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে আলোচনা করবেন।