ইরান কোনও প্রকার মার্কিন চাপ আমলে নেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শনিবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন তিনি। ওই বিবৃতিতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের বন্ধুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
পেজেশকিয়ান একজন মধ্যপন্থি নেতা যিনি নির্বাচনে কট্টরপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করেছেন। পূর্ববর্তী নেতাদের মতো তিনিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে চাচ্ছে না। তেহরান প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসারিত করবে এবং ইউরোপের সঙ্গে জড়িত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে এই বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে এবং একবার ও বারবার এটি বুঝতে হবে, ইরান চাপে সাড়া দেয় না এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মতবাদে পারমাণবিক অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নয়-এবং তা করাও হবে না।’
‘নতুন বিশ্বের কাছে আমার বার্তা’ শিরোনামের বিবৃতিটি দৈনিক তেহরান টাইমস-এ প্রকাশিত হয়।
ইরানে একটি বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি প্রচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৬৯ বছর বয়সী সাবেক এই কার্ডিয়াক সার্জন। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণ নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন পেজেশকিয়ান। এই চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছিল তেহরান। একইসঙ্গে উত্তেজনা কমাতে সামাজিক উদারনীতি এবং রাজনৈতিক বহুত্ববাদের সম্ভাবনাগুলোকে উন্নত করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
তবে অনেক ইরানিই তার প্রচারাভিযানের প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান। কেননা, প্রেসিডেন্ট নন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হাতে।
বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সময়ে ধারাবাহিকভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে এই বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম।’
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে যে কোনও উদ্যোগকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করবে তেহরান।