সম্প্রতি উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার এই সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে—এমন জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বুধবার (২২ মে) তা বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফরে বড় অঙ্কের বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে তার সফরের তালিকায় রাখা হয়নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এই সফর এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ট্রাম্প ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বোমাবর্ষণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী এখনও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে।
নেতানিয়াহু আগে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে বুধবার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রায় ১০ দিন আগে তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা হয়েছে। ট্রাম্প তাকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমি ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিও পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়তে থাকায়, ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবরুদ্ধ এলাকায় বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলেছেন। গাজায় ১১ সপ্তাহের ইসরায়েলি সহায়তা অবরোধের ফলে গভীর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েক দিন আগে আরেকটি কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে নেতানিয়াহু জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাকে বলেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে—এমন ভুয়া খবরে কান দিবেন না।’