শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলের রাস্তায় নেমেছেন শত শত বিক্ষোভকারী। সেখানে গত বছর উগ্র ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের সহিংস সমাবেশের এক বছর পূর্তিতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। শত শত শিক্ষার্থী ও বামপন্থী কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে পুলিশবিরোধী স্লোগান দেয়। আওয়াজ উঠে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও।
গত বছর শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের সমাবেশ এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। এ সময় কট্টর শ্বেতাঙ্গ ও পাল্টা বিক্ষোভকারী বর্ণবাদবিরোধীদের মধ্যকার সহিংসতায় হেদার হেয়ের নামের এক নারী নিহত হন। একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য এবার আগে থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার তাদের কর্মসূচিতে পুলিশি ব্যবস্থা ছিল বেশ কঠোর। কর্মসূচির এক পর্যায়ে পুলিশ দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের মতো করে অবস্থান নিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শিক্ষার্থীরা। তারা বলতে থাকে, এখানে কোনও দাঙ্গা নেই; তাহলে পুলিশের এমন অবস্থান কেন? পরে বড় ধরনের কোনও সহিংসতা ছাড়াই সমাবেশে পুলিশি অবরোধের ইতি ঘটে।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরাও বলছেন, শনিবারের কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের বিধিনিষেধ ছিল বাড়াবাড়ি রকমের।
শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদবিরোধীদের কর্মসূচি চলাকালে নগণ্য অপরাধের দায়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৪ বছর।
এদিকে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জেমস রায়ান এক অনুষ্ঠানে গত বছর শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষ্ক্রিয়তার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন।
শার্লটসভিলের শনিবারের বিক্ষোভে একইসঙ্গে মিশেছিল আশা, দুঃখ, রাগ আর গত বছরের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন। সূত্র: রয়টার্স।