ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মঙ্গলবার সকালে তুষারে ঢেকে যায়। ঘুম ভেঙে মানুষ দেখতে পান তুষারের পাতলা স্তর চারপাশে। মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর-এর খবরে বলা হয়েছে, এই শতাব্দিতে এটি বাগদাদে দ্বিতীয় তুষারপাতের ঘটনা।
খবরে বলা হয়েছে, গত দশ বছরের মধ্যেও বাগদাদে এটি প্রথম তুষারপাতের ঘটনা। এর আগে ২০০৮ আসলে সেখানে তুষারপাত হয়েছিল। কিন্তু এর আগে প্রায় এক শতাব্দি সেখানে কোনও তুষারপাত হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশু-কিশোররা তুষারপাতের ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। অনেকেই স্নোবল ছোড়াছুড়ি ও ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ স্নোম্যান বানানোর এই বিরল সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি।
টুইটারে অনেকেই জানিয়েছেন, এই প্রথম তারা তুষার দেখেছেন। শহরটির পাম গাছগুলো তুষারে ঢেকে গেছে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ শিবিরও তুষার আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে।
শিয়াদের পবিত্র শহর কারবালাতে তুষারপাত হয়েছে। ইমাম হোসেন মসজিদে তুষার বর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরাকের আবহাওয়া কেন্দ্রের মিডিয়া প্রধান আমের আল-জাবেরি বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বুধবার পর্যন্ত তুষারপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোপ থেকে এই ঠান্ডা হাওয়া আসছে।
বাগদাদের লোকেরা শীতের চেয়ে গরমে অভ্যস্ত। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বাগদাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েক বছর ধরে জলবায়ুজনিত কারণে ইরাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালে পানির স্বল্পতায় দেশটির মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। পরের বছর অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে বন্যায় বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।