X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিতে আরব দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কী!

বিদেশ ডেস্ক
১৫ আগস্ট ২০২০, ০১:৫২আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২০, ০২:৪১

‘একটি ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকম্প মাত্রই আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যে।’ নিউইয়র্ক টাইমসের বিখ্যাত কলামিস্ট টমাস এল ফ্রিডম্যান এভাবেই বর্ণনা করেছেন ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণাকে। কেন তিনি এটিকে ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকম্প বলছেন, নিজের লেখায় সেটি ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিতে আরব দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কী!

টমাস এল ফ্রিডম্যান বলেন, ‘আনোয়ার সাদাতের জেরুজালেমে যাওয়ার মতো কোনও ঘটনা এটি নয়- কারণ আরব ও ইসরায়েলিদের মধ্যে প্রথম সম্পর্ক খুলে যাওয়ার সেই বড় ঘটনার সমকক্ষ আর কিছুই হতে পারে না। হোয়াইট হাউসের লনে আইজ্যাক রবিনের সঙ্গে ইয়াসির আরাফাতের করমর্দনের সঙ্গেও এর তুলনা চলে না। কারণ ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য সমঝোতার সমান আর কিছুই হতে পারে না।’

টমাস এল ফ্রিডম্যানের মতে, ইসরায়েল আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের এই ঘটনা ওপরের দুটি ঘটনার খুবই কাছাকাছি। এ ধরণের ঘটনার স্কোর কার্ডে এটির অবস্থান তিন নম্বরে।

ইসরায়েলের সঙ্গে এর আগে কেবল মাত্র দুটি আরব রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে। প্রথমটি মিসরের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে। এই চুক্তি করার পরিণামে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দ্বিতীয়টি জর্ডানের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে।

আকস্মিক ঘোষণা

বৃহস্পতিবার যেভাবে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণাটি এসেছিল, তা সবাইকে হতচকিত করেছে। এতে মধ্যস্থতা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই প্রথম এক বিবৃতিতে এই ঘটনা জানান। পুরো আলোচনাটি চলছিল বেশ গোপনে। এতটাই গোপনে যে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত নাকি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না।

ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যে এই চুক্তিকে এক 'ঐতিহাসিক মূহুর্ত' বলে বর্ণনা করেছেন।

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইসরায়েল ঘেঁষা পরিচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘বরফ যেহেতু গলেছে এখন আমি আশা করবো আরও অনেক আরব এবং মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনুসরণ করবে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হিব্রুতে টুইট করেন, ‘এক ঐতিহাসিক দিন‍।’

যেসব বিষয়ে সমঝোতা

সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি দল নিয়মিত মিলিত হবে নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে। এর মধ্যে বিনিয়োগ, পর্যটন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, পরিবেশ, দুই দেশে পরস্পরের দূতাবাস স্থাপন থেকে কিছুই বাদ থাকছে না। দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে যত রকমের সম্পর্ক থাকার কথা, তেমন এক সম্পর্কের দিকেই যাচ্ছে দুই দেশ।

এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গতিশীল দুটি সমাজ এবং অগ্রসর দুটি অর্থনীতির মধ্যে এই সরাসরি সম্পর্কের সূচনা পুরো অঞ্চলকে বদলে দেবে। এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ত্বরান্বিত হবে এবং মানুষে-মানুষে সম্পর্ক তৈরি হবে।’

একটি আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে এই সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল নতুন করে পশ্চিম তীরের যেসব ফিলিস্তিনি এলাকা দখলের পরিকল্পনা করছিল, তা আপাতত(!) স্থগিত রাখবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ বলেছেন, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে তার দেশ সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার যে পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল এগোচ্ছিল, সেই 'টাইম বোমা' থামিয়ে দেওয়া গেছে। তবে ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়নি। এটি স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র।

'আমাদের পিঠে ছুরিকাঘাত'

ফিলিস্তিনিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে 'বিশ্বাসঘাতকতা' হিসেবে দেখছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর নিন্দা করে বলেছেন, ‘এটি জেরুজালেম, আল-আকসা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

একজন ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হানান আশরাউই এই সমঝোতার নিন্দা করে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত তলে তলে যেসব গোপন লেনদেন আর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছিল, সেটা এবার প্রকাশ হয়ে গেল। তিনি আবুধাবির প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিজের বন্ধুর দ্বারা কেউ যেন এভাবে বিক্রি হয়ে না যান‍।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিলিস্তিনি দূতকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরিকাঘাত।

খুব কঠোর ভাষায় এই সমঝোতার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তকে ‌'বিপজ্জনক' এবং 'বোকামি' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনদের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য আমিরাত কখনোই ক্ষমা পাবে না।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বরাবরই সোচ্চার তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ সহ্য করা যায় না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক। দেশটি বলছে, আমিরাতের এই ভণ্ডামি ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

ইসরায়েলের মিত্র মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরায়েলের আরেক মিত্র জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, এই চুক্তির পর থমকে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু হতে পারে।

সৌদি-আমিরাতের আরেক মিত্র বাহরাইন এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এই চুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটি।

সৌদি-আমিরাত বলয়ের আরেক দেশ ওমানও এই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

সৌদি-আমিরাত বলয়ের প্রায় সবকটি দেশই এ চুক্তিকে স্বাগত জানালেও রিয়াদের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্য কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির বিজয়?

এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখলের পরিকল্পনা স্থগিত রাখলেও তা বাতিল করা হয়নি। ওই পরিকল্পনা এখনও ইসরায়েলের রয়েছে।

অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র দেখাতে চাইছিল যে, এই সমঝোতার ফলে ইসরায়েলকে যেন এই কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, উভয়েই ভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই সমঝোতা থেকে কিছু ফায়দা তুলতে পারেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে তার পররাষ্ট্রনীতির এক বিশাল বিজয় হিসেবে দেখাতে চাইবেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার ভাবমূর্তিকে চাঙ্গা করতে এ রকম কিছু একটা দরকার। আর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে যে বিপদের মধ্যে আছেন, সেখান থেকে মানুষের মনোযোগ অন্য দিকে সরানোর জন্য এটিকে কাজে লাগাতে পারবেন।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বিরাট অংশ ইসরায়েলের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনাও নেতানিয়াহুর মাথা থেকেই এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে যে রকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল ইসরায়েলকে, তাতে কাজটা নেতানিয়াহুর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন খোদ খোদ আমিরাতের মতো একটি  মুসলিম দেশই ইসরায়েলের পায়ে পায়ে হাঁটছে। এই আমিরাত আবার সৌদি আরবের মিত্র হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করে ইসরায়েল-ভারতের সরাসরি বিমান চলাচলের অনুমতি দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে ফ্লাইট পরিচালনায় নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় রিয়াদ।

এমবিএস হিসেবে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন, ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত একটি ইহুদিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে মেনে নিয়েছে রিয়াদ। এখন মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবও কী শিগগিরই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের বইয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি যুবরাজ হওয়ার পর ট্রাম্প এর কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। বন্ধুদের ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার সৌদি আরবে একটি 'অভ্যুত্থানের পেছনে' কলকাঠি নেড়েছেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমরা আমাদের একজন লোককে শীর্ষ পদে বসিয়েছি।’ দৃশ্যত এখন এই ‘নিজেদের লোকদের’ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক
সর্বশেষ খবর
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনরুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া