হংকং-এর বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের জেরে অঞ্চলটির সঙ্গে সন্দেহভাজন অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিতর্কিত ওই নিরাপত্তা আইন হংকং-এর মানুষের স্বাধীনতাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
এর আগে গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে হংকং-এর বিশেষ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক মর্যাদা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি হংকং-এর মানুষের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে একই ইস্যুতে হংকংয়ের সঙ্গে সন্দেহভাজন অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি বাতিল করায় যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বেইজিং।
গত ১ জুলাই থেকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের জন্য নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন করে বেইজিং। এই আইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু অপরাধের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চীনের হাতে তুলে দিতে পারবে হংকং কর্তৃপক্ষ। সমালোচকেরা বলছেন, এই আইনের কারণে অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার সুযোগ পাবে চীন।
আইনটি কার্যকরের পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো চীনের কঠোর সমালোচনা শুরু করে। হংকং-এর সঙ্গে আগে থেকেই সচল থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি বাতিল করে একাধিক পশ্চিমা দেশ। এসব চুক্তি অনুযায়ী পরস্পরের মধ্যে সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিনিময় করার সুযোগ ছিল। তবে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর দেশগুলো মনে করছে ওই আইনের মাধ্যমে এখন থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দিতে পারে হংকং। সূত্র: বিবিসি।