কৃষ্ণ সাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনির সন্ধান পাওয়ায় তুরস্কের জ্বালানি আমদানি কমে যাবে বলে আশা করছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ ডোনমেজ। শনিবার (২২ আগস্ট) তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় চলতে থাকা অনুসন্ধান পর্যালোচনার পর প্রাকৃতিক গ্যাসের আরও মজুতের সন্ধান পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
গত ২১ আগস্ট (শুক্রবার) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান কৃষ্ণসাগরে টুনা-ওয়ান জোনে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুতের সন্ধান মিলেছে। সেখানে প্রায় ৩২ হাজার কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস রয়েছে বলে জানান তিনি। ২০২৩ সাল নাগাদ এই গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, একই সময়ে কৃষ্ণ সাগরে খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে আঙ্কারার তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে। পরবর্তী জ্বালানি রফতানিকারক দেশ হিসেবে তুরস্ক আবির্ভূত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমানে জ্বালানি আমদানির জন্য রাশিয়া, ইরান ও আজারবাইজানের ওপর নির্ভর করে তুরস্ক। গত বছরও এসব দেশ থেকে ৪১ হাজার কোটি ডলারের জ্বালানি আমদানি করেছে আঙ্কারা। তবে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হলে জ্বালানি ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে দেশটির।
আর তুরস্কের জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমে গেলে সরকারের আর্থিক ক্ষমতা বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। শনিবার তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ ডোনমেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন আবিষ্কারের ফলে আমরা আশা করছি আমদানি অনেক খানি কমে যাবে। নাগরিকদের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত করে অর্থনৈতিক সাশ্রয় করার প্রাকৃতিক কার্যক্রম সেরে ফেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে নতুন ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এই এলাকায় একই ধরণের আরও কয়েকটি মজুত পাওয়া যাবে।’