X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও দুই ধাপে গুয়ানতানামো কারাগারের বন্দি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

বিদেশ ডেস্ক
৩১ মার্চ ২০১৬, ১২:১৯আপডেট : ৩১ মার্চ ২০১৬, ১২:১৯
image

গুয়ানতানামো কারাগার আবারও দুই ধাপে কিউবায় অবস্থিত কুখ্যাত মার্কিন বন্দিশালা গুয়ানতানামো বে থেকে বন্দি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, অন্তত দুইটি দেশে ওই বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে। কারাগারটি বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই বন্দি স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সামনে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরতে গিয়ে ওবামা বলেন, ‘গুয়ানতানামো বন্দী শিবিরটি মার্কিন আদর্শের বিপক্ষেই যায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও কাজেই আসেনি এই কারাগার। অতএব এটা বন্ধ করাই সঠিক কাজ হবে।’ বর্তমানে সেখানে এখনও ৯১ জন বন্দি অবশিষ্ট রয়েছেন। তাদের এখন মার্কিন ভূখণ্ডে কোনও সেনা অথবা বেসামরিক কারাগারে স্থানান্তর করতে চান ওবামা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে আলজাজিরা জানায়, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বন্দিদের একাংশকে কয়েকদিনের মধ্যে অন্য দেশে স্থানান্তর করা হবে। আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে আরও কিছু বন্দিকে। এই প্রক্রিয়ায় ৩৭ জন বন্দি স্থানান্তরিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। যারা স্থানান্তরিত হবেন তাদের মধ্যে তারিক বা ওদা নামের ইয়েমেনি এক বন্দিও রয়েছেন। দীর্ঘদিনের অনশনে তিনি তার শরীরের অর্ধেক ভর হারিয়েছেন। তার আইনজীবীরা শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় তার মুক্তি চাইলেও পেন্টাগন বলছে, তাকে যথাযথভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে।

গুয়ানতানামো

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধে ওবামার নেওয়া সিদ্ধান্তের বিপক্ষে জোরালো অবস্থানে রয়েছে রিপাবলিকানরা। এমনকি ডেমোক্র্যাট শিবিরেও এ নিয়ে রয়েছে অস্বস্তি। তারা নির্বাচনি বছরে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রিপাবলিকানদের জন্য রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চান না। তবে পেন্টাগন এরইমধ্যে তাদের পরিকল্পনার কথা কংগ্রেসকে জানিয়ে দিয়েছে।

পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র কমান্ডার গে রোজ আলজাজিরাকে বলেন, ‘কবে ওই বন্দিরা স্থানান্তরিত হবে তার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানি না। তবে গুয়ানতানামো বে বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই প্রক্রিয়া চলছে।’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে সময় ফুরিয়ে এসেছে ওবামার। এই বন্দীশিবির বন্ধ করা ছিল তার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। তাই হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে তিনি গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করতে চান। মার্কিন সরকার পরিচালিত এই কারাগারটির অবস্থান কিউবায়। এর প্রতিষ্ঠা নাইন ইলেভেন হামলার পরের বছর ২০০২ সালে। কারাগারটি প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের চোখে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি বলে মনে হয় এমন ৭৮০ জনকে সেখানে বন্দি রাখা হয়।

নানা সময়ে বন্দিদের উপর নির্যাতন ও তাদের অধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। আরেকটি অভিযোগ হলো সেখানে বন্দিদের বিনা বিচারে আটক রাখা হয়। সূত্র: আলজাজিরা, মিডল ইস্ট আই

/বিএ/

সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা