X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

এইচআইভি এইডস নিয়ে কুসংস্কার দূর করতে হবে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৪১আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৪২

এইচআইভি এইডস নিয়ে কুসংস্কার দূর করতে হবে এইচআইভি এইডসে আক্রান্তদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা ও বৈষম্য রয়েছে। তাদের এই কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা ও বৈষম্য দূর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
শনিবার ( ২৮ নভেম্বর) এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি কুসংস্কার, বৈষম্য নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালাম।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কারও এইডস হয়েছে শুনলেই মানুষের ধারণা হয় আক্রান্ত মানুষের জীবনাচার ভালো নয়, ইসলামিক নয়। আর এজন্যই তিনি এইডসে আক্রান্ত হয়েছে। এরকম ধারণা নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি চলছে। আর এটা দূর করার জন্য পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ইসলামিক প্রোগ্রামগুলোতে এইচআইভি এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে কারণ জনসচেতনতা তৈরিতে মিডিয়ার অনেক ভূমিকা আছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডিরেক্টর (টিবি-এল ও এএসপি) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, যেসব জেলায় ৫০ জনের বেশি রোগী রয়েছে সেসব ঝুঁকিপূর্ণ, ৩০জনের বেশি হলে সে অনুযায়ী ভাগ করে পুরো দেশকে ‘মার্কিং’ করা হয়েছে। এরকম ২৩ জেলায় ২৮টি কেন্দ্র করা হয়েছে যেখানে এই রোগীদের জন্য কাউন্সেলিং এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটি রয়েছে, এর বাইরেও উপজেলা পর্যন্ত স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম রয়েছে।
এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেকোনো ইনফেকশনেই মৃত্যু হতে পারে। তাই ওষুধ দিয়ে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রোগটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকার থেকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, এখনও আমাদের দেশে এই রোগ আর রোগীদের নিয়ে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে বৈষম্য, কুসংস্কার রয়েছে। এটাও আমাদের দেশে এই রোগী পরীক্ষা এবং শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বড় একটি বাঁধা। যার কারণে সবাইকে টেস্টিং এর আওতায় এনে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

/জেএ/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেলো পাকিস্তান
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেলো পাকিস্তান
মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড
মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড
‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটা নিজের করে নিচ্ছেন ধোনি! 
‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটা নিজের করে নিচ্ছেন ধোনি! 
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি