প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো চিকিৎসাধীন ৭৮ দিন বয়সী আবু বকর ও ওমর ফারুক নামে দুই শিশুর দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)। ওই দুই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল বলে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউর শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন। আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। পোস্ট অপারেটিভে এ দুজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তারা স্থিতিশীল আছে। ৪৮ ঘণ্টা পার হলে বাকিটুকু বলা যাবে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আবু বকর ও ওমর ফারুকের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের শরীরে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়। শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কে এম সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশান মুনমুন এবং নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, অ্যানেসথিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক এবং নার্সিং ইনচার্জ মেহেরুন্নেসাসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা অস্ত্রপচারে অংশগ্রহণ করেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভ্যানচালক শহর আলী খানের মেয়ে চায়না বেগম এবং তার স্বামী আল আমিন শেখের ঘরে চলতি বছর ৪ জুলাই পেটে জোড়া লাগা দুজন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ৫ জুলাই তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। পেটে জোড়া লাগানো যমজ এ দুই নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন...