বার্ধক্যের সবচেয়ে দৃশ্যমান দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো আমাদের ত্বক এবং চুলের উপর এর প্রভাব। তবে আজকাল অনেক তরুণ-তরুণীও চুলে পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। মেলানিনের উৎপাদন কম বা না হলে চুলের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হয়ে যায়। জেনেটিক্স, স্ট্রেস, পরিবেশগত কারণ, জীবনযাত্রার কারণও অকালে চুল পাকার জন্য দায়ী। কারণগুলো সবসময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ এনমামি আগরওয়াল বলছেন, নির্দিষ্ট ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি হলে সময়ের আগেই চুল ধূসর হয়ে উঠতে শুরু করতে পারে। এবং কারণ যদি এটা হয়, তবে কিন্তু সহজেই আপনি আটকাতে পারেন আপনার অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা।
১। ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড হলো ভিটামিন বি-৯ এর সিন্থেটিক রূপ আর ফোলেট হলো প্রাকৃতিকভাবে সংঘটিত রূপ। যদিও প্রথমটি সম্পূরক আকারে নেওয়া যেতে পারে, তবে পরবর্তীটি নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমেই খেতে হবে। গাঢ় পাতাযুক্ত সবজি যেমন পালং শাক, মেথি পাতা, সরিষার শাক ইত্যাদি ফলিক অ্যাসিডের উৎস। এছাড়া মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর এবং মটরের ডাল, চিনাবাদাম, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ, কমলা, জাম্বুরা ও লেবুতে মেলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড
২। ভিটামিন বি ১২
পুষ্টিবিদ এনমামি আগরওয়াল জানান, ভিটামিন বি ১২ লোহিত রক্তকণিকা এবং মেলানিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং মাশরুম এই ভিটামিনের ভালো উৎস।
৩। কপার
এনমামি জানান, মেলানিন উৎপাদনের জন্য কপার গুরুত্বপূর্ণ। এটি তিল বীজ, কাজুবাদাম, বাদাম এবং গোটা শস্যে মেলে। আমিষভোজীরা কপার পেতে পারেন চর্বিহীন লাল মাংস এবং মিঠা পানির মাছে।
৪। জিংক
এই খনিজ চুলের ফলিকলগুলোলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি চুলের নতুন কোষ তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। কুমড়া, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজ, কালো তিল খান নিয়মিত। এছাড়াও অবশ্যই ডায়েটে পেস্তা, বাদাম, কালো ছোলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি