শরীরের সমস্ত কোষের ঠিকঠাক কাজ করার জন্য পটাশিয়ামের প্রয়োজন। খনিজটি হৃদস্পন্দনে এবং পেশী সংকুচিত করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন গড়ে ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের। নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীর খনিজটি পায়। কিন্তু যদি ডাক্তার বলে যে আপনার পটাসিয়ামের মাত্রা খুব বেশি, তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। জেনে নিন কোন কোন খাবারে মিলবে পটাশিয়াম।
- পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে মসুরের ডাল। এক কাপ ডালে ৭০০ মিলিগ্রামেরও বেশি পটাশিয়াম মেলে। এছাড়া প্রচুর ফাইবার, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস মসুর ডাল। রক্তে শর্করা স্থির রাখে এই ডাল।
- সেদ্ধ আলুতে পেতে পারেন পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের পাশাপাশি সেদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি এবং বি ৬ বেশি থাকে। এছাড়াও সোডিয়াম সমৃদ্ধ আলুতে কোলেস্টেরল থাকে কম পরিমাণে। মিষ্টি ও লাল আলুও পুষ্টিগুণে ভরপুর।
- ১ কাপ কমলার রসে ৫০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম মেলে। হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-ও পাবেন উপকারী কমলায়।
- পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে কলা। একটি মাঝারি আকারের কলা দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। পটাশিয়াম ছাড়াও ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এবং বি ৬ রয়েছে কলায়।
- মুরগির মাংসে পেতে পারেন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম। প্রতি ৩ আউন্স মুরগির মাংসে মেলে ৩৩০ মিলিগ্রামের বেশি পটাশিয়াম। এটি চর্বিহীন প্রোটিন দিয়েও পরিপূর্ণ।
- এক কাপ দই আপনাকে প্রায় ৫৮০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম দেবে। এটি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামেরও একটি ভালো উৎস। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের জন্য ভালো। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে পারে দই।
- স্যামন বা তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছে পেতে পারেন পটাশিয়াম। ৩ আউন্স পরিবেশনে প্রায় ৩৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এই তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও বেশি থাকে, যা হার্ট ভালো রাখতে পারে।
তথ্য: ওয়েবএমডি