প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। বিয়ে করেছিলাম সাত বছর আগে প্রেম করে। কিন্তু এখন আর স্বামীকে ভালো লাগে না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আমি নানা টানাপোড়েনে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছি। আগে যে মানুষটাকে মনে হতো সবচেয়ে বড় সাপোর্ট, আজকে তাকেই অসহ্য লাগে। অনেক চেষ্টা করেছি ব্যাপারগুলো ঠিক করে ফেলার। কিন্তু তার দিক থেকে আশানুরূপ সাড়া পাইনি। ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভাবছি বেশ কিছুদিন ধরেই, কিন্তু সাহস করতে পারছি না। পরিবারের সাপোর্টও পাচ্ছি না এই ব্যাপারে। ডিভোর্সের পর কি সবকিছু আরও কঠিন হয়ে যাবে?
উত্তর: ডিভোর্স একটি বড় সিদ্ধান্ত এবং এর পরিণতি নিয়ে চিন্তা করা স্বাভাবিক। ডিভোর্সের পর জীবন কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যদি পরিবারের সাপোর্ট না থাকে। ডিভোর্সের পর জীবন অনেক চ্যালেঞ্জিং হতে পারে কিংবা ডিভোর্সের পর নতুন করে সবকিছু শুরু করার সুযোগও তৈরি হতে পারে। ডিভোর্সের পর আবেগিক অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। ডিভোর্সের পর আর্থিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে। একক আয়ের উপর নির্ভর করতে হতে পারে এবং নতুন বাজেট এবং আর্থিক পরিকল্পনা্র প্রয়োজন পড়তে পারে। কিছু বন্ধু দূরে সরে যেতে পারে, আবার নতুন বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে। সন্তান থাকলে ডিভোর্সের পর তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে। এসব কিছু বিবেচনা করে আপনাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে আপনি একজন ম্যারেজ কাউন্সেলরের সহায়তা নিতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২১ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। স্কুল কলেজ জীববে সবসময় আমি সেরা ফল অর্জন করতাম। সেটা নিয়ে সবাই আমাকে অনেক উৎসাহ দিত, বাবা মা গর্ব করতেন। সমস্যা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে। সেরা ফল অর্জন করতে না পারলে আমি নিজেই ভেংগে পড়ছি। বাবা মা যদিও বলছেন এটা জীবনেরই অংশ, এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। কিন্তু এক সাবজেক্টেও আমার চেয়ে অন্য কেউ ভালো করে ফেললে আমি মুষড়ে পড়ি। কী করব এই সমস্যা সমাধানে?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রতিযোগিতা এবং পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি হতে পারে, যা আপনাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিচের কিছু পরামর্শ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে:
১) সবসময় সেরা ফল অর্জন করা সম্ভব নয়। নিজের প্রতি সদয় থাকুন এবং নিজের প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করুন।
২) বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে সেগুলো অর্জন করার চেষ্টা করুন।
৩) ছোট ছোট সাফল্যগুলো সেলিব্রেট করুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪) অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতা করুন। একে অপরের থেকে শিখুন এবং একে অপরকে সাহায্য করুন।
৫) আপনার বাবা-মা আপনাকে সমর্থন করছেন, তাদের সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করুন। তাদের পরামর্শ এবং সমর্থন আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে পারে।
৬) পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে বের করুন এবং সেগুলোতে সময় দিন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।