রান্নাঘরের কাজ সামলানো বেশ ঝক্কির কাজই বটে। রান্নায় আপনি যতই পটু হন না কেন, দিনের একটা বড় সময় কেটে যায় রান্নাঘরেই। কারণ কাজ গুছিয়ে করা, ছোটখাট নানা বিড়ম্বনা সামাল দেওয়া ও কাজ শেষে আবার রান্নাঘর গুছিয়ে বের হওয়া সময়সাপেক্ষ। দরকারি কিছু টিপস জেনে নিন। এতে রান্নার কাজে সময় বাঁচবে অনেকটাই।
- প্রেসার কুকারে ডাল রান্না করতে গেলেই ঢাকনায় ডালের পানি লেগে মাখামাখি হয়। চারপাশ সবকিছু নোংরা হয়ে যায়। যা পরিষ্কার করতেও খুব কষ্ট হয়। একটি কৌশল খুব কার্যকর হতে পারে এক্ষেত্রে। প্রেসার কুকারে ডাল ফুটোনোর সময় একটি ছোট স্টিলের বাটি রাখুন। এতে করে মসুর ডাল ফুটবে না এবং কুকারের সিটি থেকে কেবল হাওয়া বের হবে। ডালের পানি বের হবে না। এছাড়া ডাল, পানি, লবণ, হলুদ ও তেল দিয়ে প্রেসার কুকার চুলায় বসানোর আগে ভেন্ট ওয়েটের নিচের অংশে কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে দিন। এরপর মাঝারি আঁচে চুলায় বসান। এতেও উপচে পড়বে না প্রেসার কুকার।
- খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।
- কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময় যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবণ দিল। তাহলে আর তেল ছিটবে না।
- রসুনের খোসা সহজে ছাড়ানোর জন্য কোয়াগুলো কিছুক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর রসুনের খোসা ছাড়ালে খুব সহজে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- নারকেল ভাঙার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দুই ভাগে ভেঙে যাবে।
- খুব সহজে প্রেসার কুকারে ভাত রান্না করে ফেলতে পারেন। এজন্য ২ কাপ চাল ধুয়ে দিয়ে দিন। ২ কাপ চালের জন্য ৪ কাপ পানি দেবেন। ঢাকনা লাগিয়ে উচ্চ তাপে চুলায় বসিয়ে দিন। দুটি সিটি উঠলে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকনা খুলে ফেলুন। নাহলে ভাত নরম হয়ে যাবে।
- দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় একটু বেখেয়াল হলেই হাঁড়ি উপচে পড়ে যায়। হাঁড়ির চারপাশে সামান্য তেল মেখে নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে অবশ্যই উচ্চতাপে দেওয়া যাবে না দুধ। মাঝারি আঁচে রাখতে হবে।
- রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
- অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।