দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন ভারী খাবার খাওয়া হয়। আবার গরমের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে হঠাৎ পোলাও, কোরমা, বিরিয়ানির মতো খাবারের কারণে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া কিংবা ফুড পয়জনিংয়ের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদ ফাতেমা ফারহানা জানান, ঈদে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ঈদে সুস্থ থাকতে কিছু পরামর্শও দিলেন এই পুষ্টিবিদ।
- যেহেতু পুরো এক মাস একই নিয়মে রোজা রাখার পর ঈদের সকালে প্রথমে খেতে হচ্ছে, তাই বেশি খাবার খাওয়া বা এলোমেলো খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। সকালের মেন্যু যেন হালকা হয় সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। সকালে দুধের তৈরি পায়েস বা ফলের জুস, তেল ছাড়া পাতলা পরোটা বা রুটির সাথে সবজি ভাজি খেতে পারেন।
- ঈদে মাংসের নানা আইটেম থাকে টেবিলে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, পাইলস, ফিসার, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন মাংস পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার।
- ঈদে প্রতি বেলায় বিরিয়ানি, পোলাও না খেয়ে চেষ্টা করুন অন্তত এক বেলা সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার।
- খাবারের তালিকায় যে শুধু মাংসই রাখতে হবে এমন নয়। মাছ দিয়েও নানা ধরনের মজার পদ তৈরি করে ফেলা যায়। মুরগির মাংসের সাথে সাদা পোলাও বা খিচুড়ি হতে পারে এক বেলার খাবার। প্রতি বেলার খাবারের সঙ্গে রাখুন সবুজ সালাদ ও টক দই।
- কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। এর বদলে দইয়ের তৈরি শরবত বা জিরা পানি খান। খেতে পারেন বোরহানিও।
- ভারী খাবার খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়। এতে শরীর ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ হারায়। এছাড়া এটি হজমকে ধীর করে দিতে পারে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- যেহেতু ঈদ, গরু বা খাসির মাংসের কয়েক পদ রান্না তো হবেই। এক্ষেত্রে চেষ্টা করুন চর্বি পুরোপুরি ফেলে দিয়ে রান্না করার। এছাড়া অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহারও এড়িয়ে চলুন।