অন্ত্রের স্বাস্থ্য শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার কেন্দ্রবিন্দু। হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক সুস্থতা এবং মন ভালো রাখতে সহায়তা করে সুস্থ অন্ত্র। হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং প্রদাহ পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
দই: একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক
প্রোবায়োটিকের সবচেয়ে সহজ উৎসগুলোর মধ্যে একটি হল দই। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে বৃদ্ধি পেতে উৎসাহিত করে দই। খাবার হজমে সাহায্য করে এটি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কার্যকর দই। মিষ্টি দইয়ের বদলে টক দই খান।
আদা: পেট ফাঁপা প্রতিরোধক
বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা এবং বদহজম দূর করার জন্য আদা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি হজম এনজাইম উদ্দীপক, গ্যাস্ট্রিক গতিশীলতা উদ্দীপক এবং অন্ত্রের নালীকেও প্রশমিত করে। খাবারের পরে আদা চা পান করলে পেট ভরা ভাব কমে এবং ধীর হজমের কারণে পেট ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
হলুদ: অন্ত্রের প্রদাহ উপশম করে
হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অন্ত্রের প্রদাহ প্রশমিত করতে কারকিউমিন ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রোনের রোগে। হলুদ পিত্ত নিঃসরণকেও উদ্দীপিত করে, যা চর্বি কমায় এবং পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
কলা: হজমে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমায়
কলার ফাইবার অন্ত্রকে নিয়মিত করে এবং এর প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড প্রভাব পাকস্থলীর অ্যাসিডকে প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত কলা খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স উপশম হয়। কলার মতো পেকটিন সমৃদ্ধ ফল ডায়রিয়ার সময়েও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
পেঁপে: এনজাইম সমৃদ্ধ ফল
পেঁপেতে পেপেইন থাকে, এটি একটি প্রোটিওলাইটিক এনজাইম যা প্রোটিন হজমে সহায়তা করে এবং হজমের ব্যাধি কমায়। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে পেঁপে খেলে পেট ফাঁপা এবং বদহজম এড়ানো সম্ভব হয়। এর ফাইবার এবং পানি অন্ত্রের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া