X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
বিবর্তনমূল বাংলা অভিধান

মধ্যযুগের অন্য উৎসগুলো ব্যবহার

ফিরোজ আহমেদ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৯আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৩

মধ্যযুগের অন্য উৎসগুলো ব্যবহার পূর্ব প্রকাশের পর


তিন.

আগের অধ্যায়ে আমরা দেখেছি মঙ্গলকাব্যের সূত্রগুলো ব্যবহারে বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান (বিবঅ) ততটা সাফল্য দেখায়নি। মঙ্গলকাব্যই অবশ্য মধ্যযুগের বাংলা ভাষা ও শব্দের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে একমাত্র উৎস নয়। এছাড়াও আছে নানান অনুবাদ সাহিত্য, দলিল দস্তাবেজ, শিলালিপি ও অন্যান্য সূত্র— এনকি বাংলার প্রসঙ্গ উল্লেখিত হলে  সংস্কৃত, ফার্সি, ইংরেজির মত বিদেশী ভাষার সূত্রগুলোও নয় কেন? এগুলোতে পাওয়া সম্ভব প্রচুর ভৌগোলিক বিবরণজাত বাংলা শব্দ ও সংস্কৃতি ও লোকাচার বিষয়ক পরিভাষা।

যেমন পদ্মা নদী। পদ্মা নদীর ঐতিহাসিক উল্লেখ নির্ধারণ করতে বিবাঅ ব্যর্থ হয়েছে। এটা হতাশাব্যঞ্জক, কারণ-এর উৎসটি বাংলা সাহিত্যের গূরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলোর মাঝে একটা। পঞ্চদশ শতকের কবি কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণের অনুবাদ করেছিলেন, নদীয়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি, বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী তার জীবনকাল ১৩৮১-১৪৬১। পঞ্চদশ শতকের প্রথম ভাগে তিনি গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ (রাজত্বকাল ১৩৯০-১৪১১) রাজা গণেশ (রা ১৪১৫-১৮) অথবা জালালুদ্দীন মাহমুদ শাহ (রা. ১৪১৮-১৪৩১) কিংবা রুকনুদ্দীন বরবক শাহ (রা.১৪৫৯-১৪৭৪) কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে বাংলায় রামায়ণ রচনা করেন। সংস্কৃত রামায়ণ ও মহাভারতে পদ্মানদীর উল্লেখ নেই। পদ্মায় স্নান করলে কোনো পূণ্য নেই, সেটা সকলে জানতো। কিন্তু গঙ্গার এই বিশাল শাখার উল্লেখ কেন পুরাণগুলোতে নেই, অথবা কেন তাতে পূণ্য অর্জন হবে না, সেই প্রশ্ন নিশ্চয়ই আর্য সভ্যতা পূর্ব-বাংলার দিকে জাঁকিয়ে বসার পর একটা পর্যায়ে উঠেছিল। রামায়ণের এই অনুবাদকার তাই সম্ভবত নতুন আর একটি কাহিনী প্রবিষ্ট করিয়ে দিয়েছেন, হতে পারে তা তার সময়ের জনপ্রিয় কাহিনী, হতে পারে তা তার নিজের উদ্ভাবন। কিন্তু আমরা আমাদের জানা নথিগুলোর মাঝে এখানেই পদ্মা ও পদ্মাবতী যে গঙ্গার সাথে সম্পর্কিত, সেটা প্রথমবারের মত পাই:

পদ্মমুনি লয়ে গেল নাম পদ্মাবতী।

ভগীরথ সঙ্গেতে চলিল ভাগীরথী।।

শাপবাণী সুরধুনী দিলেন পদ্মারে।

মুক্তিপদ যেন নাহি হয় তব নীরে।।

বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান অনুসারে নদী হিসেবে পদ্মা প্রথম উল্লেখটি মিলছে রামরাম বসু, ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে: পদ্মার মোহনা। বটে! বাংলাদেশের প্রধান নদীটির উল্লেখ বাংলা সাহিত্যে আসতে উপনিবেশিক উনিশ শতক পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল, এই ভ্রান্তি তৈরি করার সমূহ ঝুঁকি কি এখানে থাকছে না?

পদ্মাবতী নামের ভুক্তিটিতে যে নদীবিশেষ বলা হয়েছে, তা অনির্দিষ্ট ঠেকে। এটা সুনির্দিষ্টভাবে পদ্মা নদীই। একই ভাবে পঁউয়া ভুক্তিটিতেও চর্যাপদের পঙক্তিটির বাংলা অনুবাদের পাশাপাশি এটি যে পঁউয়া খাল বলতে যে ওই আলোচনার সময়টিতে পদ্মা নদীকেই বোঝাতো তা উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল।
এই সূত্রেই অন্য একটি ভাবনাও উদয় হয়, বাংলার বহু নাম ও স্থানের উদ্ভব হয়েছে অথবা প্রথম উল্লেখ হয়েছে একদমই অন্য ভাষায়, যেমন সংস্কৃত, প্রাকৃত বা ফারসি ও আরবি ভাষায়। বাংলায় বিবর্তনমূলক অভিধান করতে গেলে সেগুলোর সন্ধানও জরুরি। যেমন, গৌড়, গৌড়দেশ এই সব ভু্ক্তিতে মিলছে ১৫৮০ সালের কৃষ্ণদাস(জগতের ভাগ্যে গৌড়ে করিলা উদয়), বৃন্দাবন দাশ (গৌড় দেশ ইন্দ্রজয় নিত্যানন্দ রায়), কৃষ্ণদাস (আর যত ভক্তগণ গৌড় দেশবাসী) প্রমুখকে। গৌড়েশ্বরে মিলছে বিদ্যাপতি, ১৪৭০। শুধু গৌড় ভুক্তিটিকে বিবেচনা করলে এই বিবরণ ত্রুটিপূর্ণ, কেননা বিপ্রদাসের মনসা মঙ্গলকাব্যে মিলছে সাহিত্যে গৌড়ের আরও পুরনো উল্লেখ ‘নৃপতি হুসেন শাহ গৌড়ের সুলতান।। হেনকালে রচিল পদ্মার ব্রতগীত। শুনিয়া ত্রিবিধ লোক পরম পীরিত’।

কিন্তু যদি আমরা বাংলার বাইরের এবং বাংলাভাষা বহির্ভূত উৎসগুলো বিবেচনা করার উদারতর দৃষ্টি গ্রহণ করি, গৌড় শব্দটিকে আরও পুরনো সাহিত্যে মিলবে। যেমন কান্যকুব্জরাজা যশোবর্মার (৭২৫-৭৫৩) সভাকবি বাক্‌পতিরাজ রচিত ‘গৌড়বহো’ নামর প্রাকৃত কাব্যের কথা উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ দীনেশচন্দ্র সরকার। এর সংস্কৃত রূপ ‘গৌড়বধঃ’, যশোবর্মার হাতে নিহত কোন এক গৌড়রাজের নিহত হবার কাহিনী এটি।  যুদ্ধ ইত্যাদি প্রসঙ্গে গৌড়ের আরও উল্লেখ আছে একই সময়ের কামরুপের রাজার অভিলেখে, আছে কাশ্মীরের রাজতরঙ্গীনি নামের বিখ্যাত সাহিত্যে গৌররাজকে হত্যার বিবরণ, এবং সেই মন্দির ধ্বংস করতে গৌরসেনাদের তৎপরতার কথা।  

এমনিভাবে, পদ্মাবতী উপভুক্তিতে বলা আছে নদীবিশেষ। এর উদাহরণ হিসেবে বলা আছে ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দের বৃন্দাবন দাসের উদ্ধৃতি।পদ্মাবতী নদী বড় দেখিতে সুন্দর। কিন্তু পদ্মাবতীর এরচেয়ে অনেক পুরনো উল্লেখ পাওয়া যায়, তাম্র্রশাসনে। সংস্কৃত ভাষায়। কেননা তখন রাজকীয় কাজকর্ম সংস্কৃত ভাষাতেই হতো। আধুনিককালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসবিদ, তাম্রলিপি ও শিলালেখ বিশেষজ্ঞ দীনেশচন্দ্র সরকারের পালপূর্ব যুগের বংশানুচরিত গ্রন্থটিতে মিললো সতট ‘পদ্মাবতী’ মানে পদ্মাবতী নদীর তীরে ভূমিদাসের কথা। বিবরণে দীনেশচন্দ্র লিখছেন:

“ফরিদপুর জেলার ইদিলপুরে প্রাপ্ত দশম শতাব্দীর চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্রের শাসনে পদ্মা (পদ্মাবতী?) নদীর সর্বপ্রাচীন উল্লেখ পাওয়া যায়। তখন এ অঞ্চলে পদ্মানামের যে ক্ষুদ্র নদী প্রবাহিতা ছিল, পরে গঙ্গার পূর্বশাখার জলস্রোত তার খাতে পড়ার ফলে সেটি ক্রমে সুবৃহৎ নদীতে পরিণত হয়ে পদ্মা নাম পায় বলে মনে হয়… বিগত কয়েক শতাব্দীতে পদ্মা নদীর বহু বিবর্তন ঘটেছে। পণ্ডিতেরা মনে করেন পদ্মা এক সময় রামপুর বোয়ালিয়ার কাছ দিয়ে চলন বিলের পথে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গার খাতে ঢাকা পেরিয়ে মেঘনার নিম্নভাগে পড়ত; কিন্তু অষ্টাদশ শতকে নদীটি ফরিদপুর ও বাখরগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে এসে দক্ষিণ শাহাবাজপুর দ্বীপের উপর দিকে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুরের প্রায় বিশ মাইল দক্ষিণে মেঘনার মোহনায় মিলিত হয়। মুর্শিদাবাদের নবাবগণের সভাসদ রাজা রাজবল্লভের নির্মিত রাজনগর এক সময় পদ্মার বামতীরে অবস্থিত ছিল এবং নিকটবর্তী কালীগঙ্গা নদী পদ্মা ও মেঘনাকে সংযুক্ত করত। রাজনগর প্রভৃতি বহুজনের কীর্তি পদ্মাগর্ভে বিলীন হওয়ায় এখানে নদীর নাম হয় কীর্তিনাশা।”

একইভাবে, মীর্জা নাথান রচিত বাহারীস্তান-ই-গায়বী নামের স্মৃতিকথার বাংলা অনুবাদে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত কোচরা মোঘল বাহিনীর সৈন্যদেরকে ‘বাঙাল’ বলতো। এর কারণ কি জানি না, হয়তো ইতিমধ্যেই বাঙলা মুল্লুকে মোঘলদের অধিকারের কল্যাণেই এটা ঘটেছে।

সংস্কৃত ও ফারসি ভাষাতে রচিত উৎসে যদি বাংলা মুল্লুকে ব্যবহৃত শব্দের শুরুর দিকের উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সূত্র হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করতে হবে, ইতিহাসবিদরা যেভাবে পর্যটক, আগ্রাসনকারী কিংবা বণিকদের স্মৃতিকথাকে ব্যবহার করেন। প্রয়োজনে এগুলোর জন্য পৃথক অনুচ্ছেদ নির্ধারণ করা যেতে পারে। কেননা এই সকল উৎস তো বাংলা ভাষার বিকাশের ধারাটিকে কোনো না কোনো ভাবে ধারণ করেছে। বিদেশি ভাষায় বাংলাভাষার এই শব্দগুলোর ব্যবহারের উল্লেখ মিললে তা কেবল এটিই প্রমাণ করে, শব্দটি ইতিমধ্যেই প্রচলিত হয়ে গিয়েছে।

চার

সকল ভুক্তিতে যে এই বিবর্তনের পথটি যথাযথভাবে ধরা পড়েনি, তা নয়। নিশ্চিতভাবেই বহু সংখ্যক ভুক্তিতেই বিবঅ সফল হয়েছে। পাঠক খুব তৃপ্তির সঙ্গে পড়তে পারবেন ‘কাগজ’ ভুক্তিটি। ফারসিজাত এই শব্দটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাটির আগমন মুসলমানি শাসনে। পঞ্চদশ শতকে কাগজ ক্রমাগত ভূর্জপত্রকে প্রতিস্থাপিত করতে থাকে। বাংলার কাগজ বিশেষভাবে মসৃন ও সাদা হতো, সেটা মা হিয়েন তার ভ্রমণবৃত্তান্তেও উল্লেখ করেছেন। হয়তো আরও পুরনো উল্লেখ ঘাঁটলে পাওয়া যাবে, কিন্তু আপাতত মুকুন্দরামেই আমাদের জানা সবচেয়ে পুরনো উল্লেখটি বিবাঅ-এ আছে (কাগজি ধরিলা নাম কাগজ করিয়া)। শুধু তাই নয়, কাগজের অর্থের বিবর্তনের ছাপটিও বিবাঅ-তে পাওয়া যাবে, কাগজ যে আদালতের সাক্ষ্য বস্তু হতে পারে, কাগজ হয় কোম্পানির কাগজ-বদলে যাওয়া সময়ের ছাপ মোটামুটি সন্তোষজনক ভাবেই পাওয়া যাবে এখানে।

প্রায় নিখুঁত আরেকটি ভুক্তি যেমন বাঙ্গাল। পরিহাসমূলকভাবে পূর্ববঙ্গবাসী অর্থে ব্যবহৃত বাঙ্গাল শব্দটির তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ ১৫৮০ সালে বৃন্দাবন  দাসের ‘বাঙ্গালেরে কদর্থেন হাসিয়া হাসিয়া’ বিবাঅ ভুক্ত হযেছে। মধ্যযুগের অবসানেও এই পরিহাস বন্ধ হয়নি। তবে শব্দের বিবর্তনই যদি আমরা সন্ধান করতে চাই, অভিধানকারদের আরেকটু অগ্রসর তবে হতেই হবে।  বাঙ্গাল এই পরিহাসের জবাব ফিরিয়ে দেয়া সম্ভবত শুরু করেছিল উনিশ শতকে। পূর্ববঙ্গে রচিত গ্রন্থাদি শুদ্ধ করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে সংশোধন করিয়ে নেয়া দরকার, সংবাদ প্রভাকরের এমন একটি প্রস্তাবের জবাবে ১৫ আশ্বিন, ১২৭৩; ৩০সেপ্টেম্বর ১৮৮৬ সংখ্যায় ‘ঢাকা প্রকাশ’ পত্রিকায় কেন পূর্ববঙ্গবাসীদের বাঙ্গাল বলা হয় সে নিয়ে পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা প্রকাশের পরিহাস: ‘পত্রপ্রেরকের লিঙ্গজ্ঞান থাকিলে বুঝিতেন; বাঙ্গাল শব্দটি পুংলিঙ্গ, আর বাঙ্গালী শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ।’ 

এমন আরও অনেক মানসম্পন্ন ভুক্তির কথা বলা যাবে, যেমন আরেকটি পলায়ন, পালানো প্রভৃতি। তবু ভবিষ্যতে এগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রস্তাবের পথও নিশ্চয়ই বন্ধ হয়ে যায়নি। যেমন পালানো শব্দটার বাংলা সাহিত্যে একটা বিখ্যাত ব্যবহার হলো  ‘তারা বলে মোরা বর্গি চোখে দেখি নাই, লোকের পলানি দেখে আমরা পলাই।’  বর্গির হামলার সমকালীন গঙ্গারাম দাসের এই পলানো শব্দটার ব্যবহার গণআতঙ্কজনিত গণপলায়নের সাহিত্যিক উদাহরণ হিসেবে ঠাঁই পাবার দাবি রাখে। 


 

আগের পর্ব পড়ুন-

যে বিচ্যুতিগুলো এড়ানো যেতো...

 

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে ৪৪ মিনিট