রূপারূপ
এখনো চিনি না তাকে, উঁচু ঘাড় বাঁকা করে এসে
দাঁড়িয়েছে পথের ওপর
দেখি ছায়া তার লেঙুরের রূপে ঝুলে আছে গায়
তবু তো শরীর দেখি ছায়াভাবে স্থির নদীতীরে
আমি দেখি ঘোলাজল একরঙা রূপ ধরে আছে
এইবার ঝলোমলো পাখিটির রূপ ধরে এলে
তাকে কিছু চেনা যায় পুরাতন ঘড়ির ছায়ায়
যেখানে ছায়াটি পড়ে সেই জল আদি ঠারে রাঙা
আমি তো সর্বংসহা, সুরমার চিরল ধারায়
পরিস্থানে
[‘পরি’বাদ শুরু হয়ে যাওয়ার পর]
আগেও এসেছি, তবু, এ সফর, বিষম, করুণ
জঙ্গল হয়েছে সাফ, হাওয়া আর নয় সাবলীল
অরণ্যবাসীরা বলে, এইসব গাছের দরুণ :
পাখিও গায় না গান—সকলেই কেমন বখিল।
লোকজন নীরবতা ছেনে, এত কথাও যে বলে
সবই ভূকারণ—আসলে নীরব; শূন্য পরিবন;
ফুল-পাখি লতা আর পাতা দিয়ে কত আর চলে
যেরকম এই পদ্যে অন্ত্যমিল আসে অকারণ।
তারচে কবিরা এসো, ঝাঁক বেঁধে, অজলমাঝার
পরিস্থানে খেলা হোক, অহেতুক তামাশাবাজার