X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১
কবিতা

দূরে যাও মূর্খ দহন

শিকদার ওয়ালিউজ্জামান
১১ অক্টোবর ২০২১, ২০:০০আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, ২০:০০

দূরে যাও মূর্খ দহন 

যখনই আমি হয়ে যাই
ভ্রান্তিগুলো জড়ো হয় চোখেমুখে, মগজেও 
মিছিলে শামিল শত পথ―ভোরের ভিনদেশি মানুষ।

যত শব্দ ইচ্ছেমতো বলি, আদি-অন্ত নিজের করে নিই!

স্থির দূরে যাও, সামনেই সান্ধ্যনদী, বাড়ি ফেরা
কী হবে মাটির কসম?
এখনও অবিকল জমিন সবুজে সবুজে লীন!
                                                কত জল শান্ত নদী!

ভাবিনি, কোনো দেয়ালই ঈশ্বর নন, প্রভুও 
কোনো শরীর স্নান ভুলে ঘড়ির দমে তোলেনি সন্ন্যাস 

সহজের ভেতর কী যেন নেই
নেই এর ভেতর আরো কিছু নেই, সেখানেও আমি নেই...

কিছুই তো নেই! 
তবু... ভাজনের কত রূপ! পায়ের সামনে কত চল নিশ্চুপ!

দূরে যাও গণ্ডির গোটা মানুষ, মূর্খ দহন 
                              নেই এর চুমুকেই আমার সৌর উচ্ছ্বাস।


কাছেই থাকো নীরেট পাথর

এত কাছাকাছি থাকো, তবু থাকো না!

আমরা তো চলি পূর্ণিমার পথে... কাজের ভেতর কত সেতু
দু'হাতে কবুতর উড়াই...

ওকাল-একালের কত পুঁজি শূন্যে ভাসাই
তুড়ির জাদুতে ভোলাতে চাই সমূহ সংসার
তবু কেন পথকে তুলে নাও― 
পথের ভেতর?

পলির শপথ আমাদের ঘর;  ভিখিরি মন 
                আমাকে গলিতে ডেকে নাও শাদা পালক।

যারা দ্বিধার পৃথিবী সাজাতে চায়
মরমিতে পুতে দেয় লাঞ্ছনার কড়ি
                   বলি, ভুলে যাও বণিক শরীর
                                        নিঃশ্বতায় ফলবতি হও।

পরিচয় সে তো অদৃশ্য পেয়ালায় সাজানো মৌফুল
গেলাসে রাখা মায়ের দেওয়া প্রথম ডাকনাম

অভিমানের হাতে নামুক পুথি ও হৃদয়
কাছেই থাকো,           অস্পষ্ট হয়োনা নিরেট পাথর।


উড়ুক্কু

চায়ের চুমুকে ওড়ে এক আকাশ শারদীয়া ফুল!

উড়তে উড়তে― 
                        উড়ুক্কু হয়েছ 
                                              হাঁটতেই ভুলে গেছ; 
ফুলের কিতাব ছিঁড়ে শান্তির কলমে বুলেট ভরছে সভ্যতার বরপুরুষ!

বিড়ির ধোঁয়ায় মার্কিন যান
সুখটানে তালেবান
কলোনির পাহাড় নাচে আবোলতাবোল
                                            তলস্তয়ের চোখে জল!

বাড়ি ফিরলেই নিজেকে ভাবি নাফের নিরীহ স্রোত;
হরিণের বেদখলি পায়ের ছাপ নিয়ত ভাবায়
আহা! সুন্দরী বন || বোন আমার
             তোর জঙ্ঘা ভেঙেছে হায়েনার কুটকৌশল!

মনে পড়ে― 
রহস্যের দশদিক,    বৈভবে হারানো অগুনতি মানুষ!


আন্ধারবাড়ি

যদি হেরে যাই, হাতের তালুতে লিখে দিয়ো অন্ধকার। 

শাঁখের আবেশে অগনিত বিকেলকে ঘুম পাড়িয়েছি সন্ধ্যায়। বিবেকের দুপুর
পলিতে জমানো দুপায়ের ছাপ 
সবই বন্ধক রেখেছি কালরাত্রির গঙ্গায়, যেখানে কেবল মাটির শ্মশান... পাখিদের উড়াল, ঘুরাঘুরি...

মানুষের এই আশ্রয়বেদিতে সকলেই তো নাট্যশ্রমিক। হাসিতে ঢেকে রাখে কষ্টের খামার! মৌমাছি ভেড়াতে বিষাদের ক্ষণকে বানায় নাটকীয় উচ্ছ্বাস!

যদি হেরে যাই, আমাকে শুনিও না বিরহী গীত। নাচের আসরে ডেকে নিও প্রতিবেশি মধুকর! অমন আসরে আমি চোখের নিচে গড়ে নেব আন্ধারবাড়ি। ডুবে যাব আরো অন্ধকারে...

/জেডএস/
সম্পর্কিত
ভাঙা হাটের দিন
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
সাকিব আল হাসানকে দেখতে ছাদে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থী আহত
সাকিব আল হাসানকে দেখতে ছাদে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থী আহত
কাঁটাতার পেরিয়ে ভোট দিলেন তারা
কাঁটাতার পেরিয়ে ভোট দিলেন তারা
ঢাবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে
ঢাবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে
হৃদয়ের বিশ্বাস, এক ইনিংস ভালো করলেই ফর্মে ফিরবেন লিটন
হৃদয়ের বিশ্বাস, এক ইনিংস ভালো করলেই ফর্মে ফিরবেন লিটন
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা