X
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২
ঈদসংখ্যা ২০২৩

আগস্টের বিকেল ও অন্যান্য

অনুবাদ : হুমায়ূন আজম রেওয়াজ
১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৫০আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৫০

আগস্টের বিকেল ।। জয়েস ক্যারল ওয়েটস

তিনি একটি নতুন মডেলের ধাতব-নীল রঙের কুগার চালান যেটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, টেপ ডেক, পশমি কাপড়ে সুসজ্জিত অভ্যন্তরে তার নিজস্ব কিছু বিশেষ জিনিসপত্র রয়েছে, যেমন ড্যাশবোর্ডে লাগানো একটি কম্পাস, ব্লাইন্ড স্পট মিরর, জানালা এবং লাইসেন্স প্লেটের চারপাশে ক্রোমের আস্তরণ, একটি ঝাঁ চকচকে স্টিয়ারিং হুইল এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় জন্য সাপের চামড়ায় মোড়ানো স্টিয়ারিং হুইল। উষ্ণ আবহাওয়ায় তিনি শহর চক্কর দিতে পছন্দ করেন যেমনটি তিনি বিশ বছর আগে করতেন বা সম্ভবত তারও বেশ আগে কিন্তু এখন তিনি একা এবং তার বন্ধুরাও নেই যে তিনি সেই সময়ে ফিরে যাবেন। কিছুই যেন পাল্টায়নি এবং আশ্চর্যের বিষয় হল যে সত্যিই শহরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে এবং বড় রাস্তার বাইরে খুব একটা বদল ঘটেনি। এবং এ ব্যাপারে তিনি সবসময়য় একটু আশাবাদী এবং কৌতূহলী, যেমন ধরা যাক সেন্ট মেরি চার্চের পুরোনো জায়গাগুলির দিকে তারা ছুটে বেড়াতেন, পাশেই গ্রামার স্কুল। তিনি এবং তার ভাইয়েরা যখন বেড়ে উঠছিলেন তখন তার বাবা-মা যে হাফ ডজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন যখন, যদিও তিনি সেগুলোর নাম এখন আর ক্রমিকভাবে বলতে পারেন না, সেগুলোর তাদের মধ্যে একটি বা দুটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে, চকচকে নকল ইটের দেয়াল এবং বড় ছবি আঁকা জানালা দেখে চেনা মুশকিল যদি না প্রতিবেশী বাড়িগুলি দেখা যায় অবশ্য সেগুলিও অচেনা হতে শুরু করেছে। স্কুলের কাছেই একটা মনিহারি দোকান আছে প্রায় পুরনো চেহারাতেই সেখানে তিনি এক প্যাকেট লাকিস সিগারেট নেয়ার জন্য থামলেন এবং তিনি ঠিক বেরিয়ে পড়ার মুহূর্তে জ্যাকি নামের এই মহিলার দিকে ছুটে গেলেন যাকে তার বিয়ের আগে সেই হাইস্কুল থেকেই চিনতেন এবং তিনি নিজে তখন বিবাহিত ছিলেন। জ্যাকির আঁটসাঁট শর্টসে তার গুরু নিতম্ব ফুটে উঠছিল এবং তার ছোট গোলাকার পেট এবং অল্প বয়স্ক মেয়েদের পরিধেয় একটি ট্যাঙ্ক-টপ ব্লাউজে তার মাংসল হাসিমুখ সুন্দরভাবে মানিয়ে গিয়েছিল এবং তার চোখে ছিল রূপোলি নীলের প্রলেপ, পা দুটো লম্বা এবং লোমহীন যদিও হাঁটুর কাছে সামান্য কুঁচকে আছে। প্রথমে জ্যাকি তাকে ঠিক চিনতে পারেনি এরপর চিনতে পেরে অবশ্য তারা গল্পগুজব আর হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন। এটা স্পষ্ট যে তিনি তাকে পছন্দ করেন, তার দিকে তাকিয়ে তাকে তার চাকরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিবাহ-বিচ্ছেদের পর থেকে তিনি নিজে এখন কোথায় থাকেন এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী কী করছেন এসব বলতে থাকেন। তারপরে তারা পুরানো বন্ধুদের এবং হাইস্কুলের সহপাঠীদের সম্পর্কে গল্পে মেতে ওঠেন, যাদের সাথে তিনি ঘুরে বেড়ান, তাদের মধ্যে অনেকের সাথেই বেশ ক’বছর ধরে কোনো যোগাযোগ নেই, তারা বেঁচে আছেন কেউ কেউ এটাই বিস্ময়কর, এর চেয়ে ভালো সেটা নিয়ে আলাপ না করা। ধীরে ধীরে তাদের কথা ফুরায় কিন্তু কেউই দূরে সরে যেতে চাচ্ছেন না বরং তারা একে অপরের দিকে দৃঢ় সহাস্য মুখ করে আছেন! এবং তারা ঠিক স্বাভাবিক দূরত্বে চাইতে একটু কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন। জ্যাকি এমন ধরনের মহিলা যিনি কথা বলবার সময় অন্যের বাহু স্পর্শ করতে পছন্দ করেন, এবং তিনি এমন একটা ভাবনায় আচ্ছন্নপ্রায় যা ঢের আগের এবং সম্ভবত জ্যাকিও এমনই ভাবছে যে এখনকার বিয়েগুলো ঢের কম বা বেশি আন্তঃবিনিময়যোগ্য বস্তুর মতো যা রিয়ারভিউ মিররে ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাওয়া বস্তুর মতন যখন আপনি দ্রুত চলে যাচ্ছেন, কিন্তু আবার এটাই উষ্ণ অলস বাতাসে ভেসে আসা রাস্তার পিচ গলা ঘ্রাণ এবং দূরাগত সাইরেনের শব্দের মতো, কিংবা এটি একটি মালবাহী ট্রেনের শব্দ যা সেই ছোটবেলার আপনি গভীর রাতে শুনতে পেতেন… বিষণ্নতা এবং সুমধুর শব্দমালার এমনই ক্ষমতা যে এটা আপনাকে অশ্রুভারাতুর করে তুলতে পারে! এবং তারা নিজেদেরকে কোথাও নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান… উন্মত্ত কামার্ত যুগল. . . এবং কামোত্তেজনা প্রলম্বিত হয়ে ধীরে মিলায়ে যায়… এবং তাদের ঘর্মাক্ত নিবিড় পরিণতি, প্রগাঢ় চুম্বন, আলিঙ্গন, শীৎকার… যা তারা করতে যাচ্ছেন না কিন্তু তারা এটা নিবিড়ভাবে অনুভব করেন ঠিক যুগলমূর্তির মত এবং জ্যাকির চোখ বিস্ফোরিত প্রায় এবং তিনিও এর প্রভাবে সম্মোহিত প্রায় যেন কেউ একজন তার বুকে সজোরে ধাক্কা দিচ্ছে যাতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়।

মধুময় শব্দগুলি তিনি আর বলতে যাচ্ছেন না এবং জ্যাকিও কী বলবেন ঠিক ভেবে পাচ্ছিলেন না, বরং তারা একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে যেতে জ্যাকি বললেন "নিজের যত্ন নিও" এবং তিনিও বললেন "হ্যাঁ- তুমিও" এবং তিনি তার গাড়িতে ওঠে পড়লেন এবং সমূহ বিষাদ মুহূর্তেই ঝেড়ে ফেলে ছুটে বেড়িয়ে যেতে উদগ্রীব ভীষণ—রিয়ারভিউ মিররে তাকে খুঁজবেন না বলেই সবেগে গাড়ি হাঁকালেন!


সল্ট লেকের নর্দমা ।। ফ্রান্কোইস ক্যামোইন

‘চলো, এবার কোনো আনন্দ ছাড়াই একে অপরের দেহের স্বাদ গ্রহণ করি,’ মার্থা বলে। আমাদের বসার ঘর কুকুরের দখলে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে এবং গ্যাস কোম্পানির লোকগুলো রাস্তায় দলবেঁধে দাঁড়িয়ে জেরি লি লুইস-এর মেডলে গাইছে। ম্যাপেল গাছের নিচে পার্ক করা একটি ফ্ল্যাটবেড ট্রাকের পিছনে বাঁধা গ্র্যান্ড পিয়ানোটি তারা দখলে নিয়েছে। তারা গান গাইছে অভিশপ্ত দেবদূতদের মতো। ব্রেথলেস. গ্রেট বলস অব ফায়ার. হ্যাং আপ মাই রক এন্ড রোল শুজ।

‘টাচ মি হেয়ার’ মার্থা বলে। হাই স্কুল কনফিডেনশিয়াল। দেয়ার ইজ এ হোল লট অব শেকিন গোয়িং অন। তারা সবাই ক্যাস্ট্রাটি (বিশেষ কণ্ঠের জন্য খতনা করানো), সেই পাতলা খাঁটি উচ্চকণ্ঠের সাহায্যে যা অপরভাব এবং অনুপস্থতিকে উচ্চকিত করে তোলে।

‘বেবি, বেবি, বেবি’ মার্থা বলে।

আমি তাকে অবিশ্বাসের জন্য অভিযুক্ত করি। ‘তুমি বলছ আনন্দ ছাড়াই।’

‘এটি একটি ঝড়ো হাওয়ার মতো আমার উপর আছড়ে পড়েছিল,’ মার্থা এই বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

তাকে খালি গায়ে স্রেফ কঙ্কালের মতোই দেখাচ্ছে, শরীরবিদ্যার ক্লাসে পাঁজরের হাড় গোনার মতোই। আমি তাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমি কি করতে পারি? আজ সকালে আমি ফাজিতা বানিয়েছি এবং সে তা থেকে মুরগির সমস্ত টুকরো বাছাই করেছে, তারপর ফ্রিসবি ছোঁড়ার মতো করে কুকুরগুলোকে সব টর্টিলা ছুঁড়ে দিয়েছে। কাঁচা মরিচ নিয়ে লোফালুফি করে শেষে কয়েক ফালি পেঁয়াজেই সে নিজেকে সন্তুষ্ট করল।

আগামীকাল বিকেলে উটাহ পাওয়ার এবং লাইট-এর সবাই হালকা মানুষ জেনিস জপলিন পারফর্ম করবে। মিটার-রিডার ইউনিফর্ম পরা মহিলারা ব্লুজ গাইছে।

ঘরের একপাশে, নোংরা কুকুরের পায়ের কাছেই যমজ বাচ্চা দুটো খেলা করছে। একজন বলে ‘মামা।’ অন্যজন উত্তর দেয় ‘মামা। মামা।’

কুকুররা বাড়ির পেছনের উঠোনে কিম্ভূত এক গোলকধাঁধাময় সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে। তারা দিনের বেলা শীতল গর্তের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে এবং ছোট লোমযুক্ত ভিয়েট কং-এর মতো অনিয়মিত বিরতিতে আচানক বেরিয়ে আসে। সকালে যমজ দুটি গোলকধাঁধায় অদৃশ্য হয়ে গেল এবং মার্থা তার ক্লান্তির ভঙ্গি করে তাদের পিছু ছুটল। এখন তিন ঘণ্টা হয়ে গেছে, এবং আমি তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছি। সারা উটাহ জুড়ে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে; স্যাঁতসেঁতে অবস্থা চারদিকে এবং প্রায় বসবাসের অযোগ্য। মার্থা রিচার্জেবল ফ্ল্যাশলাইট এবং রিটজ ক্র্যাকারের একটি বাক্স নিয়েছিল যদি না তাকে দুপুরের খাবারের সময় পর্যন্ত থাকতে হয়। মিশকা এবং মিশকা, যমজ দুটি, সবসময় অন্ধকার জায়গা ছন্দ করে; আমি একদমই চিন্তিত নই। মার্থা না আসা পর্যন্ত কুকুরগুলো তাদের দেখাশোনা করবে। পরে আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি মার্থা বৈচি ফলের ঝোপের নিচের তোরণ দিয়ে বেরিয়ে আসছে। সে চার হাতেপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে ঝুলিয়ে নিয়ে আসছে। ‘মিশকা কোথায়?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম। ‘কুকুরেরা তাকে নিয়ে আসছে। তারা সেখানে ছোট ছোট ঘর খোদাই করেছে, যেখানে খালি সি-রেশন ক্যান দিয়ে তৈরি ছোট ছোট বিছানা এবং মোমবাতিদানি রয়েছে। এটি আরামদায়ক এবং উষ্ণ, আমি যা মোটেই আশা করিনি।

নর্দমার প্রবেশপথে, কাউন্টি কোর্টহাউসের বেসমেন্টে, একটি সতর্কবাণী রয়েছে যাতে করে সাধারণ পাবলিক কোনেকুড়িয়ে নিয়ে যেতে না পারে। কর্পোরেশন গাইড তাদের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরেন; বিলযুক্ত ক্যাপগুলির পরিবর্তে তারা শক্তিশালী কার্বাইড বাতি-সহ খনি শ্রমিকদের হেলমেটে পরেন। মার্থা মিশকাকে একটি ঝোলাতে বেঁধে তার পেটের কাছে ঝুলিয়ে রাখে; আমি একটি ব্যাকপ্যাকে মিশকা বহন করি।

‘মা,’ মিশকা বলে।

‘মা, মা,’ অন্য মিশকা উত্তর দেয়।

ভোটার নিবন্ধন তালিকা থেকে লটের মাধ্যমে নির্বাচিত নাগরিকদের বছরে একবার বাধ্যতামূলক সফর দেওয়া হয়। আমরা এখানে আসতে পেরে খুশি, যদিও আমরা চাই তারা আমাদের বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে যেতে দিক। মার্থা তার লিফলেট থেকে আমাকে পড়ে শোনায়:

‘সুড়ঙ্গে বিভিন্ন নিশাচর প্রাণীর দেখা মিলতে পারে এবং তাদেরকে কোনোভাবেই খাওয়ানো বা পোষ মানানো বা বিরক্ত করা যাবে না। নর্দমাগুলির প্রতিবেশকে সম্মান করুন।’

গাইড আমাদের কাছাকাছিই চলছে, নাইটস্টিক ধরা আছে যদি না আমরা অস্থির হয়ে যাই। মার্থার সবচেয়ে কাছের জন যখন মার্থা হোঁচট খায় তখন ভ্রুকুটি করে এবং তাকে আবার লাইনে ঠেলে দেয়, কিন্তু নির্দয়ভাবে নয়।

আমরা ব্যাপটিস্ট সমাধিক্ষেত্রে আছি, সিয়ার্স এবং রোবাকের অধীনে। আলোজ্জ্বল খুলিগুলো দেয়াল বরাবর কুলুঙ্গিতে স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাপ্টিস্টদের বিভিন্ন আলগা হাড়গোড় তাদের চিরবিশ্রামের জায়গা থেকে পড়ে পায়ের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। ছোট আঙুলের হাড়গুলি আমাদের পায়ের নিচে পড়ে ডালের মতো ফুটছে।

আমরা যথাসময়ে মন্দিরের নিচে পৌঁছে যাই, ব্যাপটিস্ট গির্জার তৈজসপত্র স্নান করানোর কৃত্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভের জন্য। সোনার পাইপের মধ্য দিয়ে পবিত্র জলের প্রবাহ দুই যমজকে চমকে দেয়; মার্থা তাদেরকে একটি করে স্তন চুষতে দেয়।

স্রোতের অদূরে একটি কুমির ধীরে ধীরে ভেসে বেড়াচ্ছিল থেকে কয়েক ফুট দূরে, চোখ এবং নাকের ছিদ্র অন্ধকার জলের উপরে সামান্যই দেখা যাচ্ছিল। একটি ক্যালিকো পোশাক পরা একজন মহিলা তাকে ওয়ান্ডার ব্রেডের টুকরো ছুড়ে মারেন এবং রক্ষীরা তাদের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে। প্রথমে মৃদুভাবে, কিন্তু ক্রমবর্ধমান উৎসাহের সাথে, আমরা এরিক ক্ল্যাপটনের পুরোনো গান গাই। আফটার মিডনাইট, লায়লা। বেল-বটম ব্লুজ।


জেন ।। স্টিভেন মোলেন

র‌্যাচেল সেই একজন যার চুল মায়ের মতো সোনালি। তারা দুজনেই একইরকম সেটা সাজান, ছড়িয়ে দিয়ে, বিনুনি বা ববি পিন ছাড়াই। তার হাতটিও মায়ের মতন, ফরসা এবং মসৃণ। সেগুলি ধারণ করবার মতো হাত, ধরবার হাত নয়, এবং তার চোখ জলাধারের মতো ভিজে এবং উজ্জ্বল। সেই নীল। লোকে বলে র‌্যাচেল সুন্দর। সে তাতে সম্মতি জানায় তার কোলের পরে রুমাল বিছিয়ে তার ঠোঁটের নিকটে সুন্দরভাবে একটি কাঁটা-চামচ তুলে ধরার ভঙ্গিতে। তার দাঁত ব্রাশ করার পরে এবং চুল আঁচড়ানোর পরে, সে আয়নার কাছে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখে, হাসির অনুশীলন করে। আমার দৃষ্টি তাকে বিব্রত করে না। সে দর্শক পছন্দ করে।

এখন যেহেতু সে চলে গেছে, আমিও এখানে দাঁড়াতে পারি। আমার নিজের জন্য নিচের তলাটি আছে : দুটি বেডরুম (তার এবং আমার) এবং আয়না-সহ বাথরুম। আর এক সপ্তাহের মধ্যে, পুরো বাড়িই আমার হবে। মা বাবা তাকে দেখতে যাচ্ছেন। এটা কোনো ছুটি নয়, মা বলেন, দেশে শুধুমাত্র একটি বাড়ি যেখানে র‌্যাচেলের মতো মেয়েরা থাকে, এমন একটি স্কুল যা তাদের ভুলে গিয়ে আবার মেয়ে হতে শেখায়।

মা বলে ভুলে যাওয়া কঠিন। ক্ষতগুলি সেরে গেছে, কিন্তু র‌্যাচেলে চিন্তায় এখনও রক্তক্ষরণ চলছে। এটি শুধুমাত্র পল্লিকুটিরে নিরিবিলি প্রহর যাপনের মাধ্যমে নিরাময় হতে পারে। রাতে, যখন অন্ধকার তাকে সেই অন্য রাতে ফিরিয়ে দেয়, নার্সরা সাহায্য করতে পারে। তাদের ছাড়া, স্মৃতিযাপন তাকে শান্তি দেবে। মা এবং বাবা এটি দূর করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এটি খুব গভীর ছিল। সে যখন বাড়িতে ছিল সেই দুই সপ্তাহে প্রতি রাতেই এটা আসত। আমি দেয়াল ভেদ করে তার গোঙানি শুনতে পাচ্ছিলাম। অভুক্ত শিশুর আওয়াজ। বিছানা ক্যাঁচক্যাঁচ করে উঠল যখন সে তার নিজের বাহু দিয়ে তৈরি একটি দোলনায় নিজেকে দোল দিতে লাগলো। চিৎকার শুরু হওয়ার পর, মা এবং বাবা তাকে জাগিয়ে তুলতে এবং তাকে ধরে রাখার জন্য নিচে দৌড়াতেন। তারা চিৎকার থামিয়েছে কিন্তু গেঙোনি থামেনি। এটা একবারে গভীর ভিতর থেকে এসেছে, এবং তার মাথার মধ্যে একটি গর্জন চলছিল।

র‌্যাচেল ক্রিসমাসের মধ্যে মা হতে পারে। দুঃস্বপ্নের মতো, এটি এমন কিছু নয় যা নিজেই থামবে। এটি কেবল বাড়তে পারে। র‌্যাচেল তরুণ, মাত্র আঠারো। র‌্যাচেল যখন জন্মেছিল তখন মায়ের বয়স ছিল আটাশ, আমার সময় প্রায় ত্রিশ। সবাই জানে একটি গর্ভপাত করতে হবে, কিন্তু মা এখনও ভাবছেন শিশুটি কেমন হবে। সর্বোপরি, শিশুটি কেবল র‌্যাচেল নয়। এটা অর্ধেক মানুষ. নতুন, ছোট আঙ্গুলগুলো কি রুক্ষ মনে হবে? আমাদের বলা হয়েছে যে দেশের বাড়িতে র‌্যাচেল অতীতের জিনিসগুলি, আমাদের পুরানো গানের পাখি এবং আমাদের পুতুলের ঘর সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলে। তার ক্ষুধা ভালো, কিন্তু আসলে এটি সেই বাচ্চা খাচ্ছে। পুতুলখানায়, আমার মনে আছে, র‍্যাচেল এবং জেন দুটি পুতুল ছিল হুবহু একই, এবং আমাদের শিশুরা ইরেজারের আকারের ছোট পুতুল ছিল। তারা, এছাড়াও, সব একই ছিল। যেহেতু মা কখনোই আমাদের জন্য পুরুষ পুতুল কিনে দেননি, তাই আমাদের স্বামীরা সবসময় কাজে থাকতেন। আমরা ছোট বারান্দায় তাদের জন্য অপেক্ষা করতাম যেমন মা করতেন, জানালার কাছে দাঁড়িয়ে বাবাকে খুঁজতেন।

এখন তারা চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও মা ব্যস্ত, তিনি আমার মনে রাখার জন্য জিনিসগুলির একটি তালিকা লেখেন : গাছে জল দেয়া, ডোমিনোকে খাওয়ানো এবং কাগজ নিয়ে আসা। শেষ অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যেন না জানে আমি একা। আমাকে রাতে দরজা লক করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত জানালা বন্ধ আছে। মা আমার হাত ধরে বললেন এটা আমাদের সবার জন্য কঠিন। তার হাত আমার মধ্যে ধরা একটি ছোট পাখির মত। আমি স্কুলে কী করছি এবং আমি যে জলরঙগুলি আঁকছি সে সম্পর্কে আমরা কথা বলি। আমি যে সেল্ফ-পোট্রেইট আঁকতে চাই সে সম্পর্কে আমি তাকে বলি, আমরা একসাথে ডিনার সাজাই। বাবা তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে, তারপর আমরা খাব। তারা আগামীকাল চলে যাচ্ছে।

বেশিরভাগ মেয়েরা এটি পছন্দ করবে। র‌্যাচেল অবশ্যই, সে তার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাবে এবং বাাবার স্টেরিওতে তাদের গান শুনবে। আমি তাদের ধূমপানের পাত্র এবং ছেলেদের নিয়ে ঠাট্টা করতে দেখতে পাচ্ছি। র‍্যাচেল সেটাই করবে, বা নিজে থেকে একটি ছেলে জোগাড় করবে। কিন্তু র‌্যাচেল চলে গেছে। আমি মায়ের তালিকা ছিঁড়ে ফেলব, বেগোনিয়ারা তাদের হাঁড়িতে না পেয়ে মরুক, ডোমিনো দুধের জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে কান্নাকাটি করবে, এবং কাগজপত্রগুলি গাড়িতে জমা হবে। আমি আয়নায় নগ্ন হাসব, প্রতিটি আলোকিত জানালায়, আমার চুল আলগা এবং আমার কাঁধের পরে অন্ধকার, এবং একদিন রাতে আমি শুনব খালি ঘরে কোথাও একটি দরজা খোলা এবং তারপর, ঝড়ের আগে আমার জানালার ডালের মতো নরম, সিঁড়িতে পদচিহ্ন : প্রথমে তার, তারপর মা এবং বাবার ছুটে চলা…


অঞ্জলি ।। মার্লিন বুনো

এমিলিকে প্রায় অদৃশ্যই মনে হত। গতকালই সে ডেন্টিস্টের চেম্বারে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিল, তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল তিনটায়। ঠিক সোয়া তিনটায় মিস্টার ম্যাকলিকে ডাকা হলো, চারটায় ডেবি চ্যাপম্যানকে। সোয়া চারটায় তিনি নার্সকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন তার নাম ডাকা হয়নি। নার্সের চোখমুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেল এবং এজন্য তিনি বারংবার ক্ষমা চাইলেন। ঘরের চারপাশে উড়ে বেড়ানো ক্ষমাগুলো থেকে এমিলি একটাকে ধরে ফেলল দিনের সংগ্রহ হিসেবে।

মানুষজন সবসময় তাকে বলতো যে তারা তার জন্য দুঃখিত। গত সপ্তাহে স্থায়ী হেয়ারেকাট দেয়ার সময় এমিলি দেখে যে হেয়ারড্রেসার তার চুলের কার্লারগুলি সরিয়ে দিয়েছে এবং গোছা গোছা চুল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। হেয়ারড্রেসার অনুনয় বিনয় দেখাতে লাগল। এমিলি তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিল এবং তার চুল বড় না হওয়া পর্যন্ত পরার জন্য একটি পরচুলা সৌজন্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছিল। হেয়ারড্রেসার পুনঃ পুনঃ ক্ষমা চাইতে লাগলেন তবে এমিলি বেরিয়ে যাওয়ার সময় ম্যাগাজিনের র‌্যাকে দুটো রেখে এলেন।

কসাই দুঃখিত হল কারণ তার কাছে চৌকো সাইজের মাংস ছিল না, ভেড়ার স্টিক কি করা যাবে? ক্লিনার দুঃখিত যে সে তার সিল্কের ব্লাউজ থেকে মেরিনারা সস তুলতে পারেনি, আরও আগেই তার এটি নিয়ে আসা উচিত ছিল। বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি তার পোর্টফোলিও পছন্দ করেছে, কিন্তু দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে তারা আরও কয়েক মাস কোনো নতুন লোক নিচ্ছে না। ডাক্তার দুঃখিত, কারণ তার স্বামীর টিউমারটি অপারেশন করা যাচ্ছিল না।

প্রায়শই সে তার পার্সে দিনের সমস্ত ক্ষমা জমা করতো, কিন্তু বেশিরভাগ দিন তাকে তার পকেটে এবং তার পরচুলার নিচেও ক্ষমার গুচ্ছ জড়ো করতে হয়েছিল। মাঝে মাঝে তিনি সেগুলোকে গলাবার করে কেটে ব্যাংক থেকে তোলা মুদ্রার রোলে ফেলে দেন৷

একদিন, তার স্বামী মারা যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর, তিনি একটি পোস্টকার্ড পান যাতে লেখা ছিল : আপনি যে ঘোড়দৌড়ে বাজি ধরেছিলেন সেখানে প্রথম বা দ্বিতীয় কোনো পুরস্কারই জিততে পারেননি। যাইহোক, বাজিতে অংশগ্রহণেরর জন্য আপনার স্থানীয় বইয়ের দোকানে আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য একটি বিশেষ উপহার রয়েছে। তাদেরকে শুধু এই কার্ডটি দেখান।

পরের বার এমিলি শহরে গেলে সে তার উপহার নিতে বইয়ের দোকানটিতে থামল। দোকানের কর্মচারীটিকে কর্মচারী দুঃখ প্রকাশ করে জানাল যে, স্টোরটির মূল পুরস্কার শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু তার কাছে অরিগামি আর্ট বিষয়ে একটি বইয়ের পেপারব্যাক সংস্করণ থাকতে পারে। এমিলি কর্মচারীটিকে তার ক্ষমা ফিরিয়ে দিতে যাচ্ছিল কারণ সে ভাবছিল বইটি পাওয়াই যথেষ্ট, কিন্তু তিনি এটিকে কাউন্টারে রেখেছিলেন তাই এমিলি তুলে নিল এবং এটি একটি বুকমার্ক হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। বাসে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় এমিলি বই এবং দিনের ক্ষমার সংগ্রহটি বের করল। প্রথমে ছোট ছোট ক্ষমার উপর অনুশীলন করেছিলেন, সেগুলিকে হাঁস এবং সারস এবং পেঁচার আকৃতিতে ভাঁজ করেছিলেন। তাদের মধ্যে কিছু ছিল কষ্টকর এবং বশ করা বেশ কঠিন। অন্যগুলো সহজ এবং প্রায় নিজরাই গুটিয়ে যাচ্ছিল। বইটির বর্ণনা মোতাবেক এমিলি কাঁচি ব্যবহার করলো না, এর ফলে বেশ কিছু ক্ষমাকে সাইজে আনা গেল না। এগুলো সে তার স্কার্টের সাথে জুড়ে দিল।

সে এতটাই মগ্ন ছিল যে সে তার স্টপেজ মিস করেছে। বাস ড্রাইভার তাকে দুঃখ প্রকাশ করলো, কিন্তু তাকে নামতে হবে এবং অন্য বাসে উঠতে হবে যেহেতু সে ইয়ার্ডে ফিরে যাচ্ছে।

সে রাতে সে ঘুমাতে পারেনি। সে তার আলমারি তন্ন তন্ন করে খুঁজল এবং জমানো সব ক্ষমাপ্রার্থনা খাবার টেবিলে বিছিয়ে রাখল। বইয়ের সাহায্য ছাড়াই এমিলি মোমবাতির আলোতে ক্শমাগুলেঅকে শত শত ডানাওয়ালা প্রাণীর আকার দিয়ে ফেলল। তিনি যত বেশি ভাঁজ করলেন, তত বেশি দক্ষ হয়ে উঠলেন। এমনকি তিনি তার স্কার্টে সেলাই করা এবড়োখেবড়ো ক্ষমাগুলোকেও পরিপাটি সরীসৃপের আকার দিয়েছেন।

পরের দিন ছিল ২৯ এপ্রিল, এই দিনে তিনি সবসময় তার স্বামীর কবর দেখতে যান। এমিলি তাকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করেছিল কিন্তু পেরোনোর সময় ড্রাইভার বলল, ‘দুঃখিত, আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না, আমাকে বিমানবন্দরের দিকে একটা ট্রিপ নিতে হবে। আপনি প্রস্তুত হলে আমাদের একটি কল দিন।’

তিনি তাকে হাত নেড়ে বিদায় দিলেন আর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া ক্ষমাপ্রার্থনাকে একটি প্রজাপতির রূপ দিলেন।

এমিলি তার স্বামীর সমাধিস্থলের চারপাশে ঘাস ছাটানো এবং মার্বেল থেকে পাখির বিষ্ঠা ধুয়ে ফেলেন। তিনি তার হাসির শব্দ এবং যেভাবে তিনি উভয় হাত দিয়ে তার শরীর ছুঁতেন তা মনে করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি তাদের মিলনের পরের মুহূর্তের অন্তরঙ্গ কথোপকথন মনে করার চেষ্টা করেছিলেন।

যদিও ধরিত্রির আর্দ্রতা তাকে হাড়, ধূলিকণা এবং মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্কে ভাবিয়ে তুলছিল, তবুও তিনি স্বর্গে তার স্বামীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছিলেন, আকাশে ভাসমান মেঘের মধ্যে।

তিনি যে হ্যাটবক্সটি নিয়ে এসেছিলেন তা খুললেন এবং একটি ক্ষমা বের করে আসলেন যেটি তিনি তার স্বামীকে মৃত্যুর আগেই দিতে চেয়েছিলেন। এটি একটু বিশ্রী আকার ছিল এবং তিনি এর দিকে প্রায় তাকাতেনই না কারণ এটি তাকে খুব লজ্জাকাতর করে তুলতো। অনুশোচনার পরিধি মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সযত্নে প্রান্তগুলি নিভাঁজ করেছিলেন। এমিলি প্রতিটি ভাঁজের খাঁজের ক্ষমাপ্রার্থনা খুঁটিয়ে দেখে, যত্ন সহকারে এর কদাকার চেহারার বদলে তার নকশা ফুটিয়ে তোলেন।

এমিলি এটা ডানা ছড়ানেরা জন্য প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় নিয়েছিলেন। যখন তিনি সমাধিস্তম্ভের উপর পরিপূর্ণ ক্ষমা সাজিয়ে রাখলেন, তিনি দেখলেন এটি ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে।


দই ।। রোনাল্ড ওয়ালেস

তারা ইদানীং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঝগড়া করছিল, বা সম্ভবত ঝগড়া নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে

স্বাভাবিকভাবে, এমনটাই ভাবছিল সে, যখন তারা ইয়োগার্ট এক্সপ্রেস থেকে রাস্তার অন্ধকার পাশ ধরে বাড়ি ফিরছিল।

আকাশে চাঁদ ছিল না, এবং অন্ধকারে বাড়িগুলিকে বিশাল আর অপরিচিত মনে হচ্ছিল।

সে এই সপ্তাহের শুরুর দিকের কথা ভাবছিল, মুদিখানায় একটা কর্ণফ্লেক্স কিনে ট্রলিতে রাখতেই সে কটাক্ষ করে বের করে নিল।

‘আমি চাই না এই বাজে জিনিসটি তুমি কেনো।’ সে বলল।

‘ওহ যিশু,’ সে উত্তর দিল, ট্রলির চাকা গড়িয়ে করিডোর থেকে একপাশে ছিটকে গেল। ‘আরেহ! তুমি কী? আমার মা?’

এইসব ছোটখাটো তর্ক তাকে আরও বেশি পীড়া দিচ্ছিল, সে দিনের পর দিন এসব নিয়ে গোঁ ধরে থাকতো, প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে পালটা জবাব দিত, সবসময় এসব নিয়েই ভাবত ঠিক যেন পোকায় কাটা দাঁতের উপর সারাক্ষণ কেউ জিব বোলায়।

এখন, যখন তারা শান্ত রাস্তায় হাঁটছিল, একে অপরকে স্পর্শ না করে, সে ভাবল

একা বাস করলে কেমন হবে বিষয়টা, অপার স্বাধীনতা। একটি বিচ্ছেদের ভাবনা–নিজের জন্য একান্ত সময়, নিজস্ব স্থান, নিজস্ব সিদ্ধান্ত–ক্রমশ তাকে আনন্দ দিচ্ছে।

অবশ্য বাচ্চারা, ঘর, দুটো গাড়ি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি–ইত্যাদি নিয়ে জটিলতা আছে কিন্তু এসবই কি একসাথে থাকার কারণ?  

তাদের ঠিক পিছনে ফুটপাতে দ্রুত পায়ের শব্দ শুনে সে উঠে এলো দ্রুত, চমকে মুখ ঘোরাতেই এক কাপ ঠান্ডা দই তার মুখে চাপা দিয়ে তাকে প্রায় অন্ধ করে দিল।

‘আরেহ!’ সে চিৎকার করল!

একটি অন্ধকার অবয়ব রাস্তার কোণে দ্রুত মিশে গেল। ‘আমি দম্পতিদের ঘৃণা করি!’ এই বলে গোঙানি দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।

সে দুর্বল বোধ করল, আর হাঁসফাঁস করতে লাগল।

তার চোখ এবং চিবুক থেকে দই মুছতে মুছতে বলল ‘ঐটা কী ছিল?’

সে এক মুহূর্ত নীরব রইলো, এবং তারপরে বলল, ‘আমি তাকে আগেও দেখেছি।’ ‘দিনের বেলা সে একটা খুলি কামড়ানো টুপি পরে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়, আমি ভেবেছিলাম সে নিরীহ।’

‘যিশু, এটি এমন একটি… একটি…

‘লঙ্ঘন?’ সে তাকে সেই শব্দটি ধরিয়ে দিল সে খুঁজছিল।

‘হ্যাঁ, একটি সীমা লঙ্ঘন। আমরা তার নামে অভিযোগ দায়ের করবো কিনা ভাবছি। শিশুদের সাবধান করে দাও, দরজায় তালা লাগাও।

তারা গলির কোণে পৌঁছে গেল, কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। সড়ক বাতির আলোয়, তাকে নির্মল লাগছিল, এবং সে ভাবল, বেশতো, অমূল্য। সে তাকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিল। ক্রমশ ধীরে সেও তাকে জড়িয়ে ধরল।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শর্তসাপেক্ষে জেল থেকে রেহাই পেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার
শর্তসাপেক্ষে জেল থেকে রেহাই পেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার
দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’: নাহিদ ইসলাম
দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’: নাহিদ ইসলাম
মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি
মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি
ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের নতুন অধ্যায়
ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের নতুন অধ্যায়
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেফতার আইভী, দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেফতার আইভী, দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার