পৃথিবী
ক.
প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ
সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী
পৃথিবী বললে সমুদ্র না
দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনি।
খ.
একদিন জনপদ চলে যাবে বৃক্ষের দখলে
বাঘেরা ভেঙে দেবে চিড়িয়াখানা
সার্কাসের তাঁবু।
আমি দেখব ভীতমানুষ, পরাজিত অহম।
“আমি সৃষ্টি না, ধ্বংস করছি সৃষ্টির অহংকার”
অমরা
স্বপ্নেরা আত্মজা, গহিন ধ্যানের আড়তে জাগৃতি—
“ওম”
তোমার কুসুম বোঁটায় দুলে ওঠে নাচের মহিমা
এক জন্মের তাণ্ডব—
এই কামনাময় বাহু, আগ্নিক আলিঙ্গনে,
ফুটছে নতুন চোখ—
অমরায়।
জন্ম
জন্ম নিনাদ ছিল রসময় কোষে
যেন কিছু আত্মহত্যাপ্রবণ স্পার্ম
মৃত্যু প্রকোষ্ঠ ভেবে ঢুকে গেল জরায়ুতে।
আর গর্ভপাতের রক্তে ধুয়ে যেতে পারেনি বলে
গর্ভধারিণীকে রক্তাক্ত করেছিল,
অনিচ্ছায়—
জন্মদাগ নিয়ে হাঁটছি ছায়া পরিসীম
দেখছি চোখের সঙ্গমেও চোখ জন্মে যায় শত।
অধিবৃত্তের মন
যুদ্ধে মুখের শ্রী থাকে না
কুঁচকানো কপাল ঠিকরে বেরোয় জলান্ধর
আর দীর্ঘশ্বাস থেকে যুদ্ধ শিশু
আর্তনাদ তাহলে জন্ম দেয়!
আমি না দেখেছি যুদ্ধ না প্রেম
না আমি যুদ্ধশিশু।
তথাপি জন্ম দিয়ে চলেছি
অধিবৃত্তের মন
প্রেম আর যুদ্ধে জন্মাচ্ছে
প্রজন্ম।
আলোর মতো সরীসৃপ
যদি অনেক দিন অনাবাদি থাকে ভূমি
একদিন বৃষ্টির সাথে নেমে আসে বীজ
বৃক্ষে বৃক্ষে ঢেকে যায় বিল্ডিং
মানুষ নির্বোধের মতো দেখতে থাকে
বৃক্ষরা হয়ে গেছে রক্তবীজ অসুর
অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির মতো ওরা
ভেঙে দিচ্ছে মাইটোসিস নিয়ম।
শামুক অথবা কচ্ছপের মতো মাথা জঠরে ঢুকিয়ে
যমদূতের ডানায় উড়ে যাব শিশির সমান ভরে
পৃথিবীর আওয়াজ মুছে
কোন এক কৃষ্ণগহ্বরের ভেতর ঢুকে যাব
আলোর মতো এক সরীসৃপ।