প্রাচীন গীর্জার কাছে বসে থাকি শুশ্রূষা নিয়ে
এমন তীব্র শীতল দিনে মনে হয়,
ক্রুশের ব্যথা থেকে অধিক শোকাতুর মার্সিয়া বেজে চলেছে যিহুদীয়া জুড়ে...
দেবদারু গাছেদের ছায়ায়, চোখের উজ্জ্বলতা ম্লান হয় ধীরে...
প্রার্থনাগীত ভেঙে গেলে, কখনো ভেবো না গাঢ় হয়ে আসা পুনরুত্থানের কথা।
ক্রুশ তুলে নেয়ার পথে তারে একাই যেতে দিও!
আমাদের সকল নিরাময় জড়ো হচ্ছে জেসাসের শোকগাথায়!
তার ক্ষতের ছাপ ঘন হয়ে আসে, ফুটে থাকা অ্যানিমোন ফুলের বুকে।
হাওয়ায় বাড়ছে মাংসের গন্ধ
আমাকে যতটা কাটো মাংসের আদলে, তার ঢের বেশি রামপ্রসাদ এই শরীর!
শালিকের ঘুম ভাঙা চোখে ফোটা গ্রীষ্মের দুপুর।
আমাকে চেয়ে দেখো আবছায়া।
কলতলার জলের শব্দের মতন
ভেঙে পড়ছে নিখুঁত!
স্তনের অধিক নরম যে সরযু নদী, তারে মনে রেখো ক্ষুধাতুর দিনে।
মাংসের দোকানে গেলে কখনো, আমাকে ভুলিও।
কিনে এনো আনখা লাল...
বিষণ্ন মৃত্যুস্মৃতি নিয়ে চা-আলাপ
১.
কবর থেকে ধীরে মুছে যাচ্ছে জন্মদাগ!
গ্রীষ্মের সামান্য আগে...
এখন শীত নাই তবু বুকের মধ্যে শীতরাত্তির।
আমার দিকে তাকায় আছে সমস্ত বিরান ভূমি...
আজানের সাথে কিছু বিষাদাক্রান্ত ধুলা ছাড়া
এখানে আর কেউ আসে না।
মাহরুবা...
মানুষ কীভাবে ঘুমায় একা?
২.
তখন শরৎকাল অথবা শরৎও ফুরাইতেসে আমার মতন।
তাহাজ্জুদ নামাজের দিকে কাত হয়ে শুয়ে আছে সমস্ত ব্যথা। দুধের বলক থেকে ঝরতেছে মায়াবিলাপ!
শীল কড়ই গাছের নিচে আজন্ম অপেক্ষা নিয়া বইসা থাকব বলে আমি হাঁটতেছি আলুথালু পথ...
মাহরুবা,
আমার ব্যথার শরিকানা হইতে কেউতো আসে নাই তুমি ছাড়া!
এমন থমথমে ভোর কখনো আসে নাই আর এই মফস্বলে...
পৃথিবীর সবথেকে বিষণ্ন কবি, যার চোখ ছিল অলক্ষ্যে ফুটে থাকা বেতফল।
পৌঁছাবার তাড়া নিয়ে তিনিও চলে গেছেন কোথাও!
ফেরা হয় না ,তবু ফেরার পথের পাশে দুভাগ হয়ে পরে রয় অনন্ত বীতশোক।