বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চাহিদা অনুযায়ী আশুলিয়ায় নিজস্ব জমি ও পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গুলশানের ভাড়া ভবনে স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে যাচ্ছে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। তারা আশুলিয়ার ক্যাম্পাসকে স্থায়ী ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মানারাত ইউনিভার্সিটি সাবেক ছাত্র-ছাত্রী ফোরাম’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ইউজিসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলে ২০১২ সালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আওলিয়ায় নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলে। সেখানে বর্তমানে ৮টি ডিপার্টমেন্টে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন। অপরদিকে গুলশান ক্যাম্পাসের জমি নিয়ে মামলা চলমান। ইউজিসি থেকেও গুলশানে স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এখানে ৩টি ডিপার্টমেন্টে ৮৬০ জন শিক্ষার্থী আছেন। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় গুলশানের ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আশুলিয়া ক্যাম্পাসে থাকা-খাওয়া খরচ গুলশানের তুলনায় অনেক কম। গুলশানে স্থায়ী ক্যাম্পাস হলে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত ৮ জুলাই থেকে আশুলিয়া ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষক ঢাকায় থাকেন। তারা আশুলিয়ার ক্যাম্পাস বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের অভিলাষের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— সাবেক শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, সা'দ বিন কাসিম ও আবু হোরায়রা তানভীর প্রমুখ।