X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫৪আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:২৬

সরকার পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আগের দিন শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাগুলো কোনও পিছিয়ে পড়া জনপদ নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চাৎপদ পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন এবং পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের সম-সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। বঙ্গবন্ধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

পার্বত্য অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, এর টেকসই ব্যবহার এবং সব উপকারভোগীর কাছে সমান সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমাদের সরকার ন্যাশনাল বায়োডাভার্সিটি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৬-২১) বাস্তবায়ন করছে বলেও বাণীতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ১২টি জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এ অঞ্চল সারাদেশের জনগণের কাছে অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটকরাও এখন পার্বত্য অঞ্চল ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, যা শান্তি চুক্তির আগে ছিল অলীক কল্পনা।

/ইএইচএস/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার আরও ৬ জন
সর্বশেষ খবর
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে