বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে গত বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ওইদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) এক রিজয়েন্ডারে বলা হয়, ওই প্রেস কনফারেন্সে কয়েকজন বক্তা তাদের বক্তব্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। ব্রাসেলস প্রেস ক্লাবকে ব্যবহার করে যাতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য রিজয়েন্ডার দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা দাবি করেছে—কোনও অপরাধী ক্ষমার আবেদন করলে ক্ষমা করার অধিকার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের নেই। তারা আরও দাবি করেছে যে প্রেসিডেন্টের শুধুমাত্র ‘স্বাক্ষরের অধিকার’ (সাইনিং অথরিটি) আছে।
এ বিষয়ে দূতাবাস থেকে বলা হয়, উপর্যুক্ত দুটি তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমার আবেদন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং মঞ্জুরের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সম্পূর্ণ সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে।
দূতাবাস থেকে জানানো হয়, মার্সি পিটিশন করবে কিনা সেটির সম্পূর্ণ অধিকার খালেদা জিয়ার এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তিনি আবেদন করতে পারেন।
২০২০ এর মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার শাস্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত করা হয় দুটি শর্তে। প্রথমটি ছিল তিনি দেশত্যাগ করবেন না এবং দ্বিতীয়টি ছিল দেশে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। ওই সময় থেকে বিএনপি নেত্রী ঢাকার গুলশানের একটি বাসায় অবস্থান করছেন। পরে স্থগিত শাস্তির মেয়াদ তিন দফা বাড়ানো হয়।
বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন যে—খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি রাজনৈতিক কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি সম্পূর্ণভাবে আইনগত বিষয়। দেশে ও বিদেশে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে এবং একটি আইনগত বিষয়কে রাজনৈতিক বিষয় হিসাবে উপস্থাপন করছে বলে জানায় দূতাবাস।