X
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
২৪ বৈশাখ ১৪৩২

তিন বছরে জমা হওয়া নিষ্ক্রিয়তাকে সক্রিয় করাই দুই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য

মাসুদা ভাট্টি
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:২৭আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:২৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তার চার দিনের ভারত সফর শুরু করেছেন। এ সফর রাষ্ট্রীয়, এবং তিন বছর পরে এই  সফর হওয়ায় এটি নিয়ে বহুবিধ আশা-আকাঙ্ক্ষা, আলোচনা-সমালোচনা এবং এর মাত্রা নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের কথায় আসা যাক, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সফর নিয়ে বিশেষ কিছু জানা গেছে কি?

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রুটিন সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছে তা ইতোমধ্যে সবারই জানা হয়েছে আশা করি। এর বাইরে দেশের গণমাধ্যমে এমন কোনও ‘ইনসাইট’ প্রকাশিত/প্রচারিত হয়েছে বলে অন্ততপক্ষে আমার জানা নেই। তাই যা কিছু কাঙ্ক্ষিত, যা কিছু চাওয়া তার সবটাই আসলে বিগত কয়েক বছর ধরে আলোচিত এবং বাংলাদেশে সবার মুখে মুখে উচ্চারিত। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো তিস্তার পানি চুক্তি। মনমোহন সরকারের পরে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় সেই যে চুক্তিটি ঝুলে গেলো আর তা আলোর মুখ দেখলো না– এ দুঃখ দুই দেশের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়। এবারও যে তার কোনও সুরাহা হবে না সেটা এখন পর্যন্ত একেবারেই নিশ্চিত, যদি না কোনও ‘মিরাকল’ ঘটে এবং দুই প্রধানমন্ত্রী একটি অবিস্মরণীয় সকালে তাদের ঝুলি থেকে জাদুর কাঠি বের করে আমলাদের দিয়ে চুক্তিটি সই করান। এরকমটি না ঘটলে দ্বিধাহীনভাবে বলা যায় এই যাত্রায় তিস্তার বিষয়ে আলোচনাও হচ্ছে না।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রস্তাবের তালিকাটি অপ্রচারিত কিন্তু অপ্রকাশিত নয়। রাখঢাক করেও যেটুকু জানা গেছে তাতে বোঝা গেছে, বাংলাদেশ মূলত বিগত তিন বছরে দুই দেশের সম্পর্কের যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করতে চায়। বিশেষ করে, দুটি ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যে একাধিক চলমান চুক্তির অবাস্তবায়িত দিকগুলো তুলে ধরে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নেই বাংলাদেশ বেশি আগ্রহী। কিন্তু এবারের সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তরফে বেশ কিছু গাফিলতির কথা বেশ জোরেশোরেই আলোচিত হচ্ছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহোদয়কে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা আসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ফলে একজন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি যতটুকু দায়িত্ব নিয়ে এ সফরকে ফলপ্রসূ করার কথা ছিল সেটুকু হয়নি।

অপরদিকে সবচেয়ে বড় অভিযোগের তীরটি নিক্ষেপিত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে। তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ একের পর এক এলোমেলো বক্তব্যের কারণে আলোচিত-সমালোচিত। অনেকে মনে করেন, এসব বক্তব্য বিবৃতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে এবং এরকম একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সফরের আগে যে ধরনের প্রস্তুতি এবং এই প্রস্তুতিতে পররাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর যে রকম আলাপ-আলোচনা করার কথা ছিল সেরকমটি না হওয়ায় অনেক জরুরি এবং দাফতরিক দলিল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই দূরত্ব নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রুটিন কিছু আলোচ্যসূচি ছাড়া বড় কোনও বিষয় যে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকছে না, সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখানেও সেই কথাটি বলে রাখছি, যা পরে আবারও বলবো, তা হলো, এরকম গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মূলত একেবারে শেষ মুহূর্তে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তা-ই সাধারণত এসব সফরের মূল লক্ষ্য হিসেবে গণ্য হয়। সেই অর্থে আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে নেমে হোটেল মোর্য্য-তে উঠেই প্রথম বৈঠকটি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সঙ্গে। এই বৈঠকটিকে যদি আমরা মূল বৈঠকের অগ্রবর্তী নির্দেশিকা ধরে নিই, তাহলে বলতেই হবে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকাটিও আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পালন করেছেন। কারণ, শেষ মুহূর্তে আব্দুল মোমেন সাহেবকে সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এবার আসা যাক ভারতীয় পক্ষ থেকে আলোচ্যসূচিতে মূলত কী সংযুক্ত করা হয়েছে? তার আগে এ কথাটিও জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, এই সফরের তারিখ আগে থেকে ঠিক করা হলেও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী দোরাইস্বামীর মেয়াদ পূর্তি হওয়ায় তাকেও ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সেই অর্থে তিনিও একজন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হিসেবে এই সফরকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে আয়োজনের চেষ্টা করেছেন সে প্রশ্ন ভারতীয় পক্ষেও লক্ষ করা গেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় একটি করিৎকর্মা এবং অনেক বেশি ‘জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠান’ বলে সুখ্যাতি অর্জন করেছে তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা। বলা হয়ে থাকে যে ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোনও রাজনৈতিক সরকারকেই একচুলও এদিক-ওদিক হতে দেয় না ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়। এবারের আলোচনা-সূচিতে আর কিছু থাক না থাক, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং সংযোগ এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে পুরো সূচি তৈরি হয়েছে বলে একাধিক ভারতীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকের কাছ থেকে জানা গেছে। দু’দেশের মধ্যে ২০০৯ সালে যে বাণিজ্য ছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলারের, ২০২১ সালের শেষে এসে তা দাঁড়িয়েছে ১০.৮ বিলিয়ন ডলারে। এই বাণিজ্যকে আরও বাড়ানো, বিশেষ করে বিশ্বের এই দুর্যোগপূর্ণ অর্থনৈতিক দুঃসময়ে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা-ই ভারতের লক্ষ্য, সেটা আলোচ্যসূচি সম্পর্কে আলোচনায় প্রকটভাবে উঠে আসে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে নানা ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে সেপা বা কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কথা তোলা যেতে পারে, যদিও ২০১৮ সালে এটি মূল আলোচনার বিষয় থাকলেও এখন আর এটি প্রাসঙ্গিক নয় বলতে গেলে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এমন কোনও চুক্তির কথা বলা হতে পারে যার সঙ্গে বিশ্বব্যাংককেও যুক্ত করা গেলে বাংলাদেশের রফতানি অন্তত ১৮২% বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি এই সংখ্যা ৩০০%-ও করা সম্ভব হবে যদি দু’দেশ এরকম কোনও চুক্তিতে উপনীত হতে পারে। প্রশ্ন হলো, এরকম কোনও চুক্তি আদৌ সম্ভব কিনা? নাকি ইতোমধ্যে এরকম চুক্তির খসড়া ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনায় সুপার পাওয়ারের পক্ষ থেকে এ অঞ্চলে দেওয়া হয়ে গেছে এবং ভারত শুধু তার পুনরাবৃত্তি করছে?

সংযোগ বা কানেক্টিভিটির যে বিষয়টি আলোচনায় স্থান পাবে তাতে অবশ্যই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখার বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে। মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত যে সংযুক্তি ‘কানেক্টিভিটি’-প্রস্তাবে রয়েছে তা বাস্তবায়নের এখনই যে গুরুত্বপূর্ণ সময় সেটি ভারত রাখঢাক না করেই অনবরত বলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু আগ্রহী হলেই তো হবে না, সে জন্য আরও কিছু ‘কানেক্টিভিটি’-র বিষয়েও বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে ভারত মনে করে। আরও বড় কথা হলো, সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার বন্দর না ব্যবহার করে বাংলাদেশ যাতে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভারত বাংলাদেশের কাছে পাড়তে চায় এবার। কিন্তু সবচেয়ে বড় ইস্যুটি যে এক্ষেত্রে চীন থেকে বাংলাদেশকে দূরে রাখা এবং তার জন্য যেকোনও বিষয়কেই যে ভারত আলোচ্যসূচিতে নিয়ে আসবে তাতে কারোরই কোনও সন্দেহ নেই। তবে আগামীকালই জানা যাবে আসলে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার টেবিলে কী কী বিষয়ে ঠিক আলোচনা হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত জয়েন্ট প্রেস-সেশনের কোনও সময়সূচি জানানো হয়নি, সেটা আদৌ হবে, নাকি একটি প্রেসনোট ধরিয়ে দেওয়া হবে সে বিষয়টিও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে অবস্থিত হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহতে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে ফিরে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক গ্রুপ আদানী গ্রুপের কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলবেন। এখানেও বাংলাদেশে বিনিয়োগটাই যে মুখ্য হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দ্বিপাক্ষিক সফর থেকে বড় কোনও প্রাপ্তির আশা কেউ করেন না বলে মত দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি-থিংকট্যাংক প্রধান। তার মতে, এর দায় দু’দেশের আমলাতন্ত্রের। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নতুন কিছু আলোচনায় সংযুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ-ভারতের মতো দু’টি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কখনোই দেখা করা উচিত নয়। তাতে আসলে প্রাপ্তির বদলে হতাশাই বাড়ে এবং তাতে শত্রুপক্ষের পোয়াবারো হয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতে কোনও রাষ্ট্রপ্রধান এলে তিনি যে-ই হোন না কেন, ভারতের প্রোটোকল অনুযায়ী একজন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার কেউ তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। প্রকৃত দ্বিপাক্ষিক সফর শুরু হয় পরদিন যখন রাষ্ট্রপতি ভবন বা রাইসিনা হিলে আমন্ত্রিত অতিথিকে গার্ড অব অনার সহযোগে বরণ করা হয়, তখন থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে, অথচ অপপ্রচারকারীরা ইতোমধ্যে বলা শুরু করেছে, একজন প্রতিমন্ত্রী এসে বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছে আর এতেই বোঝা যাচ্ছে মোদি সরকার শেখ হাসিনাকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না! তিনি এই অপপ্রচারকারীদের ‘বোকাবাবা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, সবকিছু বাদ দিলেও শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে যে নেতৃত্বগুণ রয়েছে তাতে দু’জনই দু’জনের কাছ থেকে দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ম্যাজিক’ দেখাতে সক্ষম। সেই ম্যাজিক আসলে কী সেটা কালই জানা যাবে। দিল্লি থেকে আজকের মতো এটুকুই। কাল আবার দেখা হবে।


নয়া দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার, ২০২২

লেখক: এডিটর ইনচার্জ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

/এসএএস/
সম্পর্কিত
নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ভারত-পাকিস্তান সফর না করার পরামর্শ
গাজায় গণহত্যা ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাসের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান ঢাকার
সর্বশেষ খবর
একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
উলবাকিয়া মশা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে: আইসিডিডিআর,বি
উলবাকিয়া মশা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে: আইসিডিডিআর,বি
প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা
প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা
১১০৪ কোটি টাকার এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত
১১০৪ কোটি টাকার এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত
সর্বাধিক পঠিত
বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন আইনবন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
ফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
পাকিস্তানে ভারতের হামলাফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
সিঁদুর অভিযান: ভূপাতিত ভারতীয় বিমানের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
সিঁদুর অভিযান: ভূপাতিত ভারতীয় বিমানের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি