X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই-জুন মেয়াদে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৭আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৭

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে, এমন সব বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।’

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনও ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।’

সচিব বলেন, ‘প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান মাহমুদুল হোসাইন।

/এসআই/এনএআর/
সম্পর্কিত
এনবিআর ভেঙে দুই ভাগ হলো, অধ্যাদেশ জারি
কাস্টমস ও বন্দরের হয়রানির কারণে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কমেছে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা অনুমোদন
সর্বশেষ খবর
ধনাগোদা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে জমি-ঘর
ধনাগোদা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে জমি-ঘর
পাকিস্তানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি
অজিদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দলে গ্রিন
অজিদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দলে গ্রিন
বিস্ফোরক আইনের মামলায় আ.লীগের ২১ নেতাকর্মী কারাগারে
বিস্ফোরক আইনের মামলায় আ.লীগের ২১ নেতাকর্মী কারাগারে
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো