X
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
৩০ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধের তথ্য দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫০আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৪

বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিপরীতে এক লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ ও রেন্টাল পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী অনুযায়ী, ৮২টি আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউচার) বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৭০টিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (৩০ জুন ২০২৩) ৭৬ হাজার ২৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পনি লিমিটেড। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গত সাড়ে ১৪ বছরে সাত হাজার ৪৫৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ পরিমাণ চার্জ প্রাপ্ত অন্যান্য আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মেঘনা পাওয়ার লিমিটেডকে ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে চার হাজার ৪ কোটি ৮ লাখ, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডকে তিন হাজার ৬৪৪ কোটি ৩৯ লাখ, সেমক্রপ এনডব্লিউপিসি লিমিটেডকে দুই হাজার ৮২৩ কোটি ৬৬ লাখ, এপিআর এনার্জিকে দুই হাজার ৭৮৮ কোটি ৪ লাখ, সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে দুই হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ, হরিপুর পাওয়ার লিমিটেডকে দুই হাজার ৫৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডকে দুই হাজার ৩৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ও বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ লিমিটেডকে এক হাজর ৮৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

গত তিন মেয়াদে ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় (রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) ভাড়া বাবদ প্রদান করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস তার পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ছয় হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা পেয়েছে। এ ছাড়া অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (১৪৫ মেগাওয়াট) দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ, কেপিসিএলকে (ইউনিট-২) এক হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সামিট নারায়ণঞ্জ পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৮৫ মেগাওয়াট) লিমিটেডকে এক হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ডাচবাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডকে এক হাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, অ্যাক্রন ইনফ্রাস্টাকচার সার্ভিসেস লিমিটেডকে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৯৫ মেগাওয়াট) লিমিটেডকে এক হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, দেশ এনার্জি সিদ্দিরগঞ্জকে এক হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ, ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জকে ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

বগুড়-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিট লোকসান দুই হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ডেকসোর নিট লোকসান ২২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, একই অর্থ বছরের ৯ মাসে  ডিপিডিসির কর পরবর্তী লোকসান ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী ভারত থেকে ছয়টি চুক্তির মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি (অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার) কূপ খননের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চতকল্পে আবাসিক শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে ৪ লাখ ৩৪ হাজার গ্যাস প্রি-পেইড মিটার এবং শিল্প ও সিএনজি শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে ৩ হাজার ২৩৯টি ইভিসি মিটার স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব আবাসিক গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ২১টি অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে। ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ, জকিগঞ্জ ও ইলিশা।

/ইএইচএস/এনএআর/
সম্পর্কিত
সংসদীয় গণতন্ত্রকে গতিশীল করতে বিআইপিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: স্পিকার 
দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস হচ্ছে, তার উদাহরণ এনআরবিসি: জিএম কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ
সর্বশেষ খবর
হাজারীবাগে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পথচারী নিহত
হাজারীবাগে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পথচারী নিহত
ফাইনালে মোহামেডানের সঙ্গী আবাহনী নাকি কিংস
ফাইনালে মোহামেডানের সঙ্গী আবাহনী নাকি কিংস
এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে ইসিতে তলব
এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে ইসিতে তলব
খারকিভের কাছে রুশ সেনাবাহিনীর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ অগ্রগতি
খারকিভের কাছে রুশ সেনাবাহিনীর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ অগ্রগতি
সর্বাধিক পঠিত
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
‘কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে সুযোগ-সুবিধা পাবে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’
‘কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে সুযোগ-সুবিধা পাবে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’
রাজধানীতে ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজধানীতে ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা 
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা