জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর’স কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।’
স্পিকার বলেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে।’
এ সময় স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
ইরানের আইসিটি উপমন্ত্রী ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির প্রেসিডেন্ট আলী রেজা দারবেশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মানাসুরি কুন্দ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, আয়োজক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।