অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এসএমই খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মনে করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এসএমই নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া নিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভায় আয়োজন করা হয়।
আদিলুর রহমান খান বলেন, এসএমই খাত শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের লাভের শতকরা ৩০ ভাগই পুনরায় বিনিয়োগ করেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
সভায় মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় দেড় লাখ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে সরাসরি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ১১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এসএমই নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়িত হলে দেশের লাখো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা উপকৃত হবেন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খসড়া এসএমই নীতিমালা ২০২৫ এর ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ সভা থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো শিগগিরই শিল্প মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বর্তমানে আইএলও বাংলাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ৩০ লাখ ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো প্রটিয়ানিন বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এসএমই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন।