দেশে সম্প্রতি একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে জুমার নামাজকেও নজরদারির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টানা তিন ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, জুমার নামাজ ও খুতবা নজরদারির পাশাপাশি যারা খুতবা পড়াবেন তারা যেন প্রকৃত ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা করেন সেটাও দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, তারা (জঙ্গি) ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ করবে আর মূল ধর্মে আঘাত করবে এটা মানা যায় না।
এসময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি এসংক্রান্ত মামলাগুলোর চার্জশিট শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট মামলা রয়েছে ৩৭টি। এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১৪টি। বাকিগুলোর চার্জশিট শিগগিরই দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ জন্য সামাজিক বিপ্লব দরকার, সবার সংশ্লিষ্টতা দরকার।
হঠাৎ যাতে জঙ্গিরা কোথাও আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হবে। ইপিজেডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। এরপরও কেউ যদি নিরাপত্তা চায় তবে সরকার তা দিতে প্রস্তুত আছে।
গুলশান-বনানীসহ কূটনৈতিক ও আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। হবে। এছাড়াও পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্তের কথাও জানান আমির হোসেন আমু।
বৈঠকে পিস টিভি বন্ধ করতে উপস্থিত সবাই সম্মত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়াও দেশের স্বার্থ বিরোধী প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশে পিস টিভি দেখানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
/ওএফ/টিএন/