X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিক বালু হত্যা রহস্য!

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ
২৮ জুন ২০১৬, ১৪:০৩আপডেট : ২৮ জুন ২০১৬, ১৪:০৬

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক জন্মভূমি সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পূর্ণ হলেও বিচার হয়নি আজও। বালুর বিচার প্রত্যাশী পরিবার, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীরা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজন হারানোর ক্ষত। দীর্ঘ সময়েও এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন না হওয়ায় নিহতের পরিবার ও সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের কাজ চলছে বছরের পর বছর ধরে। এর মধ্যে বিচারে খালাস পেয়ে গেছে এ মামলার সব আসামি। হুমায়ুন কবির বালু হত্যা মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। তারা বলছেন, তদন্ত কাজ সঠিক পথে না এগোনোয় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।
একুশে পদকে ভূষিত খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির বালু। প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে হত্যাকারী এবং নেপথ্যের গডফাদারদের চিহ্নিত করতে পারেনি অদ্যাবধি। এরই মধ্যে হত্যা মামলার সব আসামি বিচারে খালাস পেয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক মামলার অধিকতর তদন্তের কাজ চলছে। ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্তে আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবেদনে উল্লেখ করেন, হত্যা মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। অধিকতর তদন্তে আসা বিস্ফোরক মামলাটি তদন্ত করছেন বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার। তিনি এ মামলায় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এমএল-জনযুদ্ধের শীর্ষনেতা ইকবাল হোসেন স্বাধীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বালু হত্যার ব্যাপারে রিমান্ডে আনা আসামি স্বাধীন হত্যাকারীদের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জেনেছে বলে প্রথম দফায় স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, আসামি স্বাধীন দুটি মামলায় পৃথকভাবে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। যার একটি সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিন হত্যা মামলা। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ জুন আততায়ীদের বোমা হামলায় হুমায়ুন কবির বালু নিহত হন। ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে ৭ আসামি বেকসুর খালাস পায়।

ফ্ল্যাশ ব্যাকঃ ২০০৪ সালের ২৭ জুন। দিনটি ছিল সাংবাদিক বালু পরিবারের জন্য আনন্দের। সাধারণ আর ১০টি দিনের চেয়ে ভিন্নতর। বালুর দ্বিতীয় সন্তান হুসনা মেহরুবা টুম্পা উচ মাধ্যমিক পাস করেছেন। মাতৃহীন সন্তানরা বালুর খুবই প্রিয়। তাই উচ্ছ্বাসটা তার একটু বেশি। নিজ সন্তানের এই সাফল্যগাঁথার অংশীদার তিনি তার (বালু) মাকে করাতে চান। তাই মাকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য ইকবালনগরে যান। বালু তার সন্তানদের নিয়ে থাকতেন খুলনা মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের (সাবেক ইসলামপুর রোড) বাড়িতে। ওই বাড়ির নিচতলা ও দোতলায় দৈনিক 'জন্মভূমি' এবং সান্ধ্য দৈনিক 'রাজপথের দাবি'র কার্যালয়। তৃতীয় তলায় তিনি থাকেন। আর মা থাকতেন তাদের পুরানো বাড়ি ইকবাল নগরে। বালুর অন্য ভাইরাও ওই বাড়িতে থাকেন। তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে বালু মাকে মিষ্টি খাইয়ে ফেরেন। তখন দুপুর ১২টার কিছু বেশি হবে। অফিস তথা বাড়ির তৃতীয় তলা ভবনের নিচে এসে তার প্রাইভেট কারটি থামে। নেমে যায় মেয়ে টুম্পা ও ছোট ছেলে আশিক। বড় ছেলে আসিফ ও বালু নামেন পরে। বালু সবার পেছনে। তারা গেট দিয়ে বাড়ির ভেতর যাচ্ছেন। গেটের মুখেই বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ। বোমাটি সরাসরি বালুর কোমরে আঘাত হানে। বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত হন একটু সামনে এগিয়ে থাকা তার বড় ছেলে আসিফ কবির। আসিফ কবির ওই দিনের ওই সময়কার বর্ণনা দিয়ে এক জায়গায় লিখেছেন, ‘কোনও আশঙ্কা বা সন্দেহ ছাড়াই অবসন্ন স্টেশন ওয়াগনটায় চড়ে আমরা বাড়ির সামনে এসে থেমেছিলাম। তখন তাতানো দুপুর। রাস্তায় লোক-গাড়ি-রিকশা ছিল না তেমন। এ সময় হঠাৎ বোমা নিক্ষেপ করা হয় আমাদের বাবা হুমায়ুন কবির বালুর ওপর। আমি তার কিছুটা দূরে ছিলাম। আমি অনুভব করলাম, একটা ঢিলের মতো কিছু এসে আমার পেছনে পায়ের ওপরের অংশে লাগলো। পরে বুঝেছিলাম, ওটা ছিল বোমার অংশ।’ বোমার আঘাতে ছয় ফুটেরও বেশি দীর্ঘ বালুর কোমরে ক্ষত তৈরি হয়। মাত্র ৫ মাস ১২ দিনের মাথায় খুলনা শহরে আরও একজন পরিচিত সাংবাদিক খুনের শিকার হন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের অদূরে দৈনিক সংবাদ ও নিউ এজের সিনিয়র রিপোর্টার এবং বিবিসি বাংলার প্রতিনিধি মানিক সাহা বোমা হামলায় খুন হন। মধুমতির তীরে ইতিহাস-প্রসিদ্ধ সমৃদ্ধ নড়াইলের ইতনা গ্রামে ১৯৪৭ সালের ৪ অক্টোবর মাতুলালয়ে জন্মেছিলেন সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু। তার বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার বরফা গ্রামে। বাবা ইমান উদ্দিন সরদার এবং মা রাবেয়া বেগম। বালুরা ছয় ভাই এবং তিন বোন। তিনি ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বাবা পেশাগত কাজ এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য চলে আসেন খুলনা শহরে। হুমায়ুন কবির বালু খুলনা শহরের বি কে ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, সরকারি আযম খান কমার্স কলেজ থেকে উচ মাধ্যমিক এবং মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি 'জয় বাংলা' পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে 'সাপ্তাহিক জন্মভূমি'র প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে খুলনা নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক জন্মভূমি দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও তিনবার নির্বাচিত সভাপতি, খুলনা আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, মিড-টাউন রোটারি ক্লাবের সভাপতি, জনসংখ্যা পরিষদের সদস্য, খুলনা আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি, পরিবার পরিকল্পনা সংস্থার সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালক ছিলেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য হুমায়ুন কবির বালু ১৯৯২ সালে খুলনা প্রেসক্লাব প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি পদক, ১৯৯৩ সালে সুজলা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, ১৯৯৪ সালে ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী পদক এবং ১৯৯৭ সালে সুর-ঝঙ্কার সম্মাননা লাভ করেন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে একুশে পদক-২০০৯ (মরণোত্তর) দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানঃ আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম শিকদার সাংবাদিক বালু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি সকল আসামীকে বেকসুর খালাস দেন। এছাড়া বিচারক পুলিশের দুর্বল প্রতিবেদন দাখিলের কথাও উল্লেখ করেন। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী এনামূল হক বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দু’টির মধ্যে ব্যাপক গড়মিল থাকায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন বলে তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন। ২০ এপ্রিল বিচারক মোহাম্মদ সেকান্দার আলী মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ১০ মে মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জুন মামলার নথি গ্রহণ করেন। অধিকতর তদন্তে আসা সাংবাদিক শহীদ হুমায়ুন কবির বালু হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক অংশের মামলাটি বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হয়েছে। আজও শেষ হয়নি এ মামলার তদন্ত। ইতিপূর্বে খালাস পেয়েছে হত্যা মামলার সকল আসামী। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে অর্থের যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীরা। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা দাবি করছেন যে এবার হত্যা পরিকল্পনাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে।

জানা যায়, হত্যা মামলার খালাস পাওয়া আসামী পূর্ব বাংলা কমিউনিস্টি পার্টির শীর্ষ নেতা ইকবাল হোসেন স্বাধীনকে এ মামলায় গ্রেফতার করেছে। সে দুটি মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত। এ পর্যন্ত পরিবর্তন হয়েছে ৫ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে এ মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশের অপরাধ চিহ্নিত করেন বিভাগ এম আইজির সহকারী পুলিশ সুপার। প্রথম তদন্তের দায়িত্ব পান সুভাস বিশ্বাস। পরবর্তীতে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্সপেকটর মিরাজুল ইসলামকে। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সিআইডি) সোমাদ্দার।

এ মামলার অপর আসামীরা হলো নজরুল ইসলাম ওরফে খোড়া নজরুল জাহিদ হোসেন ওরফে সবুজ, ও মাসুম হোসেন জাহাঙ্গীর। ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম শিকদার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপক্ষ, মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় সকল আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। এছাড়া বিচারক পুলিশের দুর্বল প্রতিবেদনের দাখিলের কথা ও বলেন। এ মামলার খালাস পাওয়া আসামীরা হলো, পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের প্রধান আব্দুল রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপন। ইকবাল হোসেন ওরফে স্বাধীন। জাহিদুর রহমান ওরফে সবুজ, রিমন, নজরুর ইসলাম ওরফে খোড়া নজু, নাজিম উদ্দিন, মাসুম।

২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামূল হক বিস্ফোরক মামলটি অধিকতর তদন্তের আবেদনে উল্লেখ করেন, এই মামলাটি দেশব্যাপী আলোচিত একটি মামলা। তাছাড়া হত্যা মামলার সকল আসামী খালাস পেয়েছে। হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের সঙ্গে আসামিদের মধ্যে রয়েছে বেশ গড়মিল। আর সে কারণে ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। আদালতে শুনানী শেষে ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ  দেওয়া হয়। মোহাম্মদ সেকান্দার আলী এ আদেশ দেন। পাশাপাশি মামলার নথি মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ২০০৯ সালের ১০ মে শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ চিহ্নিত শাখায় (সিআইডিতে) পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৭ জুন মামলার নথি গ্রহণ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল কাইয়ুম বলেন,  ইতিমধ্যে এ মামলায় অনেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে হানা দিয়ে পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞদের অভিমতঃ গত ২ দশকে প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক নিহত হলেও এর সুষ্ঠু কোনও বিচার না হওয়ায় সাংবাদিকরা নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। একটি বেসরকারি সূত্রমতে, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শুধু দক্ষিণাঞ্চলেই নিহত হয়েছেন ১২ জন সাংবাদিক।  ২০১০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সাংবাদিক খুন হয়েছেন ৪ জন, আহত হয়েছেন ১১৮ জন। সব মিলিয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৩১টি।

গত বছর সাংবাদিক বালু’র মৃত্যুবার্ষিকী-তে বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘একের পর এক সাংবাদিক খুন হচ্ছেন। কিন্তু বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। যে কয়েকটি মামলার বিচার হয়েছে তা প্রহসনের বিচার।’ তিনি বলেন, দেশে হত্যার বিচার হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। সুতরাং সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়া সম্ভব কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।

লেখক:  সাংবাদিক

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ