পুরান ঢাকায় হোলি উৎসবের সময় বখাটেদের উৎপাতের শিকার দুই বোন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান বুধবার (১৫ মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় দুই বোনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ আহমেদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে আরও জানান, বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই বোনকে আদালতে এনে ২২ ধারায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জবানবন্দিতে ঘটনার পুরো বিবরণ তুলে ধরেন দুই বোন। গত ১২ মার্চ সূত্রাপুরের বাসা থেকে বের হয়ে রিকশাযোগে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তারা। ওইদিন ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হোলি উৎসব। বাহাদুর শাহ পার্ক পেরোনোর পর ঢাকা জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে এলে কয়েকজন বখাটে যুবক রিকশার গতিরোধ করে। এরপর দুই বোনের মুখে রঙ মেখে দেওয়া ছাড়াও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে তারা। তখন দুই বোনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে তাদের রক্ষা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র।
এদিকে দুই বোনের জবানবন্দি শেষে বাদী আহাদ ফেরদাউসের হেফাজতে তাদের দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। তিনি এ দুই বোনের ভাই। গত ১৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ (৩০) ধারায় তিন বখাটেসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আহাদ।
এরপর বখাটেদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন উভয় নাকচ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে দুই বোনকে জোর করে রঙ মাখানোর অভিযোগে তিন বখাটে আকাশ (১৯), মো. সিফাত (২০) ও মো. মামুন (১৮) এখন কারাগারে আছে। তারা সবাই পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ভাড়াটিয়া।
/এসআইটি/জেএইচ/