X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

কষ্টে আছেন নিরাপত্তারক্ষীরা

সাদ্দিফ অভি
০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৭:০০আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪৬

অনেকেই ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন ‘এই কয়দিনে আপনিই আসলেন খোঁজ নিতে, আর কেউ আসে নাই। আমরা কীভাবে আছি, কেউ জানেন না’, এভাবেই অসহায়ের মতো কথাগুলো প্রতিবেদকের কাছে বলছিলেন কাওরানবাজার এলাকার একটি ভবনের নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল গনি। সিলেটে পরিবার রেখে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। অবরুদ্ধ শহরে থাকার সমস্যা না হলেও খাবারের প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তালা লাগানো গেটের ভেতর অবরুদ্ধ তারা। দায়িত্বস্থল থেকে কোথাও যাওয়ারও উপায় নেই তাদের। যারা কোম্পানির অধীনে শিফটের ডিউটি করেন, তাদের স্থান পরিবর্তন হলেও অনেকেই ২৪ ঘণ্টাই একই ভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

এদের কারও নিজের ভবনে রান্নার ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ নিরাপত্তারক্ষীর সেই ব্যবস্থা নেই। তাদের একমাত্র খাবারের উৎস ছিল হোটেল কিংবা দোকান। করোনা সংক্রমণরোধে সব হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। কারও কারও মালিক খাবার পাঠালেও, তা আনতে যেতে হচ্ছে কর্মস্থল থেকে অনেক দূরে।

নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল গনি বলেন, ‘স্যার এই কয়দিনে শুধু আপনারেই দেখলাম আমাদের খোঁজ নিতে আসতে, এর আগে কেউ জিজ্ঞেস করে নাই। আমরা কোনও সাহায্যও পাই নাই। গ্লাভস-মাস্ক কিচ্ছু নাই। সকালে চিড়া খাই, আর মালিক খাওয়া পাঠাইলে তা খাই। অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। আজ আপনে জিজ্ঞেস করছেন, এই কয়দিনে কেউ তা করে নাই। ২৬ তারিখ থেকে আমাদের বিল্ডিং বন্ধ। এই কয়দিন কষ্ট করছি স্যার। পানি খাইয়া, চিড়া খাইয়াও থাকছি।

এসময় পাশেই থাকা অপর এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মালিকরা তো বড়লোক, তারা কি আর ঘর থেইক্কা বাইর হয়। আমাদের বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে। তাও আমাদের এখানে ডিউটি করতে হইতাছে।

নিউমার্কেট এলাকার একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষী রমজান আলী জানান, সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে খাবারে প্রচণ্ড সমস্যা শুরু হয়েছে। আশপাশের সব দোকান বন্ধ। কয়েকদিন শুধু চিড়া আর পানি খেয়েই থেকেছেন তিনি।

পান্থপথের একটি ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, তারা খাবারের কষ্ট করছেন। মেস বন্ধ থাকায়, কেউ ঠিকমতো খেতে পারছেন না। সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস আর মাস্ক আছে। এর বাইরে আর কিছু নেই তাদের কাছে।

পান্থপথ এলাকায় অপর এক ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এলিট ফোর্স সিকিউরিটির সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে গ্লাভস আছে, স্প্রে আছে। আর আমাদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ এখানেই রান্নার ব্যবস্থা আছে। এখানেই থাকার ব্যবস্থা আছে, তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। অন্যান্য ভবনের থেকে আমাদের ভালো সুবিধা আছে। তবে সব ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদেরই অন্তত খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

/এসও/টিটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
পরিকল্পনাবিহীন ডিগ্রি অর্জনের কারণে বেকার থাকতে হচ্ছে: সালমান এফ রহমান 
কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: মেয়র তাপস
নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা, লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী