লক্ষ্মীপুর সদরের যুবলীগ নেতা মনির হোসেন (৩৫) খুনের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল কারণ ডাকাতি বলে উল্লেখ করেছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মনির ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে বাসায় রেখেছেন এই তথ্য জেনে ডাকাতরা বাসায় হামলা চালায় এবং এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেও তারা দাবি করেছেন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার সিআইডি সদর দফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিআইডি চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা প্রত্যেকেই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম এলাকায় ডাকাতি করে তারা।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- মামুনুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক ও আইয়ুব। তাদের লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
অতিরিক্ত ডিআইজি হাসিবুল আজিজ বলেন, ১৭ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসায় খুন হন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন (৩৫)। ওই খুনের পেছনে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ডাকাতরা মনিরের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করায় মারা যান তিনি।
যুবলীগ নেতা মনির হোসেন ডাকাতির ঘটনার আগের দিন ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজে ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা তুলে ঘরে রাখেন। আসামি কালাম তা জানতো। তা জেনেই ডাকাতি করতে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই সংঘবদ্ধ চক্রের ৯ জন সদস্য রয়েছে। তাদের দলনেতা মামুনুর রশিদ। ওই বাসা থেকে লুট করা দুই লাখ টাকা, এক ভরি গহনা, নাকফুল, কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
একজন যুবলীগ নেতা ডাকাতের জন্য খুন হয়েছে জানতে চাইলে হাসিবুল আজিজ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ডাকাতি করতে গিয়ে এই খুন হয়েছে বলেই তথ্য পেয়েছি। আর রাজনৈতিক কারণে হয়েছে কিনা, এমন কোনও তথ্য পাইনি।’
গত ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে নিজ বাসায় খুন হন। মনিরের স্ত্রী মিলন বেগমের মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত মো.মনির হোসেন ওই এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।