বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালের রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে আবাহনী ক্রীড়াচক্র গঠন ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুবসমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মনোনিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, 'শেখ কামালের পদ-পদবি নিয়ে কোনও চিন্তা ছিল না। তিনি ছাত্রলীগের কেবল সদস্য ছিলেন, সে অবস্থাতেই তিনি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি সময়েই মিছিল-মিটিংয়ে কর্মী থেকে সংগঠক হিসেবে দেশের জন্যে কাজ করে গেছেন।'
শেখ কামাল কখনও পিতার পরিচয়ে পরিচিত হতে চান নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'কামালের মাঝে বহুমুখী প্রতিভা ছিল। একাধারে তিনি ছিলেন নাট্যকার, ক্রীড়া সংগঠক। তিনি সত্তরের দশকে আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করে বিদেশি কোচ নিয়ে এসে ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তুলেছিলেন।'
শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নুরুল আলম বলেন, 'শেখ কামাল মেধাবী ছাত্র ছিলেন, ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন, বাস্কেটবল খেলতেন। শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।'
শেখ কামালের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাওহীদ হোসেন বাদল বলেন, ‘বিরোধী গোষ্ঠী শেখ কামালের মতো মানুষকেও কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে। এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট—দেশের প্রতি শেখ কামালের অবদান ও কর্ম কত মহৎ ছিল।'
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, '১৫ আগস্টের পরে ঢাবি সিনেটে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ঢাবির দুই ছাত্রের (শেখ কামাল ও সুলতানা কামাল) হত্যার নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।'
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'শেখ কামালকে নিয়ে একটি গোষ্ঠী প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছিল। কিন্তু শেখ কামাল সবার জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।'
সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শেখ কামালের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে সবাইকে আরও কাজ করে যেতে হবে।'
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর সদস্য সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান।