২০১০ ও ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে সড়ক ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনেক সময় গাড়ি লুকিয়ে রাখা হয়। দেখবেন, অফিসের সময় গাড়ি কম চলে। যখন বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে না, তখন তারা গাড়িগুলো বের করে। এ নিয়ে পুলিশ, এনজিওসহ কাজ করছি।
বুধবার (২২ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় সেতু সচিব মনজুর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ‘অপরিপক্ব’ লোকের হাতে মোটরসাইকেল চলে গেছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে এই সচিব বলেন, ‘অপরিপক্ব লোকের হাতে মোটরসাইকেল চলে গেছে। ৪০ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে মানুষ। আমরা নীতিমালা করছি। কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা চাই, রাস্তায় গাড়ি নিরাপদে চলুক। গাড়ির মালিক, পথচারী সবাইকে সতর্ক হতে হবে।’
এ সময় ইজিবাইক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, ‘আমরা চাই এগুলো উঠে যাক। কিন্তু কীভাবে উঠবে? রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এগুলো যাতে রাস্তায় না আসে, সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে যদি ৫০ লাখ গাড়ি থাকে, তাহলে সমপরিমাণ চালক আছে। দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমরা এটিকে নিরাপদ করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। নীতিমালা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আপনাদের মতামত নিয়েছি।’
সেতু সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘আমাদের যেমন সফলতা রয়েছে, তেমন ব্যর্থতাও রয়েছে। সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা থাকবে। পত্রিকায় যে সংবাদগুলো থাকে, তাতে অনেক সময় সত্যতা থাকে, অনেক সময় সেটা নাও থাকতে পারে। তারপরও আমরা মনে করি, আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানে ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’
সংবাদমাধ্যমে তথ্য এলে সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় উল্লেখ করে সেতু সচিব বলেন, ‘আমাদের যদি ভুলত্রুটি থাকে, সেগুলো সবসময় সংশোধনের চেষ্টা করছি। কোনও কোনও সময় এমন তথ্যও থাকতে পারে, যা নিয়ে আমরা বলতে পারি, তাতে ঠিক অতটুকু সত্যতা থাকে না। তবে খবর প্রকাশিত হলে সংশোধনের সুযোগ পাই আমরা।’
নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ের অধীন মাইলফলক কিছু প্রকল্প হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। এমনকি প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতু। মেট্রোরেল প্রকল্পও উদ্বোধন করতে পেরেছি। এরপরও আমাদের ব্যর্থতা ও ভুলত্রুটি থাকতে পারে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, ‘আমার মনে হয় সফলতার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছি আমরা। আমরা ৪৪৫টি প্রকল্প শেষ করেছি। এরমধ্যে অসফল প্রকল্প থাকতে পারে, কিন্তু আপনারা যদি বলেন, তাহলে আমরা তা দেখবো। সবসময় বিআরটিএ’র কথা আসছে, আমরাও স্বীকার করে নিয়েছি যে বিআরটিএ’র পরিধি অত্যন্ত ছোট। সপ্তাহে সাতদিন কাজ করা যায় না। বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু সেখানেও কাজ করছি, কাজের গতি বাড়ছে। এ বছরও আমাদের ১৫৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ৬০০ প্রকল্প শেষ হওয়ার পথে।’
তিনি আরও জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বড় একটি অভিযোগ ছিল। আজ পর্যন্ত সাত হাজার গ্রাহকের বাড়িতে আমরা লাইসেন্স পৌঁছেছি। এটি আমাদের অর্জন। বিআরটিসি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নতুন কোনও গাড়ি বহরে যোগ না করে পুরোনোগুলো মেরামত করে বিআরটিসি ঋণ পরিশোধ করেছে। তারা প্রায় ৯০০ লোককে নিয়োগ দিয়েছে।