হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদাম থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় দায়িত্বরত ৪ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (শিফট ইনচার্জ) ও ৪ সিপাহীকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে ৪ সিপাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোর্শেদ আলম।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
গোডাউনে কর্মরত চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার সঙ্গে একজন করে সিপাহী ডিউটি করেন। সেই চার সিপাহী মো. রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এছাড়া, গোডাউনে এ, বি, সি ও ডি— এই ৪ শিফটের কর্মকর্তা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, মো. সাইদুর রহমান শাহেদ, মো. শহিদুল ইসলাম এবং আকরাম শেখকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোর্শেদ আলম বলেন, যে সিকিউরিটি সিস্টেম সেখানে বাইরে থেকে ঢুকে চুরি করতে পারবে এমন সুযোগ নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা— যেসব ভল্ট ছিল একেকটি ডিএমএ-তে যেসব স্বর্ণ রাখা ছিল সেগুলো সব চুরি হয়নি। প্রতিটি ডিএম থেকে এক-দুটি করে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার উধাও হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনও এভিডেন্স পেলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটি এতই সংরক্ষিত এলাকা যেখানে এয়ারপোর্টের কর্মকর্তাদেরও পৌঁছানো কঠিন। কাস্টমসের যারা ডিউটি করেন তারাই শুধু সহজে যেতে পারেন। চুরির আলামত একেবারে নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যেসব তথ্য রয়েছে, বাইরে থেকে চোর আসলে চোর তার নিজস্ব ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে আসবে; ভেতরে কি ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট রয়েছে তার ভিত্তিতে চোর চুরি করতে আসবে না। একেকটি ডিএম-এর ভেতর ১০টি গোল্ডবার রয়েছে। বাইরে থেকে চোর আসলে সবগুলো নিয়ে যাবে। একটি-দুটি করে কোনও চোর এসব বার নেবে না। যেসব ডিএম থেকে স্বর্ণ চুরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে— সব স্বর্ণ চুরি হয়নি, প্রতিটি ডিএম থেকে আংশিক স্বর্ণ বা বার চুরি হয়েছে।
চোর বাইরের না ভেতরের— একেবারে এখনই বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার।