মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেছেন, বৈষম্য কমাতে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে কোটা লেখা থাকলেও প্রায়োগের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। কোটা পদ্ধতি রহিতের নামে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে আউট সোর্সিং, মাস্টার রোল, চুক্তিভিত্তিক (দৈনিক ও অন্যান্য) নানা শিরোনামে একটি বিশেষ গোষ্ঠী নিয়োগ বাণিজ্য চালাচ্ছে। এটি সংবিধান বিরোধী ও বেআইনি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ঘোষিত ৮০ শতাংশ আঞ্চলিক তথা জেলা কোটা এবং ২০ শতাংশ মেধা/সাধারণ কোটা ছিল। সেই কোটা বাস্তবায়নসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন মতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে কোটা অনুসরণ করার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে কোনও একটি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে অন্য প্রাধিকারভুক্ত কোটার প্রার্থী দিয়ে কোটা পূরণসহ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা পালনের আহ্বানও জানাচ্ছি।
দাবি আদায়ে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। আগামী অক্টোবর মাসে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।