X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নিয়ে যা বললেন আইনজীবী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৩আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৪

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে অর্থপাচার মামলায় জবাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইনজীবীদের নিয়ে হাজির হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোয়া দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সোয়া ১১টার দিকে ড. ইউনূস দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বের হন। এ সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলেও তিনি প্রথমে কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে এই মামলার বিষয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন কথা বলেন।

জানতে চাইলে যেতে যেতে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে, তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন।’

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রমিকদের ৪৩৭ কোটি টাকার মধ্যে তারা ২৬ কোটি টাকা অগ্রিম চেয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০১৭ সালে মামলা করেছি। আইনজীবী কোনও ফি নেননি। মামলায় জিতলে আমাদের পাওনা থেকে ৬ পার্সেন্ট তারা পাবেন। এই ফি তারা অগ্রিম দাবি করেছেন। কারণ, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের আমরা ৪৩৭ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছি। 

তিনি বলেন, শ্রমিকরা আবেদন করে বলেছেন, আইনজীবীর ফি অগ্রিম না দিলে তারা মামলা উইথড্র করবেন না। তখন তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে এই ২৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে, এটা জালিয়াতি হয়েছে। তাদের সঙ্গে আপস করে এটা নিয়ে নিয়েছেন আপনারা। সেখানে ড. ইউনূস বলেছেন, এটা কোর্টের অনুমোদন অনুযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছে। এটা কিভাবে জালিয়াতি হলো? এটা জালিয়াতি হতে পারে না।

এই আইনজীবী আরও বলেন, ড. ইউনূস দুদককে বলেছেন, এগুলো কোনও অপরাধ নয়। দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এটা হয়েছে। এটা শ্রম আইনেই বলা আছে সমঝোতা করার জন্য। তাই দুদক যে অভিযোগ এনেছেন, এটা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেখানে কোনও মামলাই হওয়ার কথা নয়, সেখানে ড. ইউনূসকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলার তদন্ত করছেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। গত ২৭ সেপ্টেম্বর (২০২৩) ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে চিঠি দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) হাজির হতে চিঠিতে বলা হয়েছে।

গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।

অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশির ভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তা-ই নয়, আইএলওতে দেওয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চেয়েছিল সংস্থাটি।

আরও পড়ুন:

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারাধীন যত মামলা

/এনএআর/
সম্পর্কিত
শেয়ার মার্কেট সংস্কারে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩
রাজশাহীতে মকবুল হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার
রাজশাহীতে মকবুল হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
আ.লীগ নিষিদ্ধের উদ্যোগ আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল: এ্যানি
আ.লীগ নিষিদ্ধের উদ্যোগ আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল: এ্যানি
সর্বাধিক পঠিত
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ