রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম কানিজ ফাতেমা (৪২)। রবিবার ( ১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফাতেমার স্বামী আলামিনকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবিনা আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংবাদ শুনে আজ বেলা ১১টার দিকে সবুজবাগ তাদের বাসা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলার নিচে চার থেকে পাঁচটি কাটা ও ছিদ্র রক্তাক্ত জখম রয়েছে। এছাড়াও কয়েক স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই।
নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, আমার ভাগ্নে ফোন করে সংবাদ পাঠায়, তাদের রুম বাইরে থেকে লক করা। সেই সংবাদ পেয়ে ভগ্নিপতির বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, ভাগ্নেদের রুমে বাইরে থেকে দরজা লক করা। তা খোলা হয়। আর আমার বোন ও ভগ্নিপতির রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা ছিল। অনেক ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলি। ভেতরে দেখতে পাই, বোন কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে ভগ্নিপতি আলামিন শুয়ে আছেন।
মনিরুজ্জামানের বরাত দিয়ে এসআই রুবিনা বলেন, কিছুদিন আগে তারা ওমরা হজ পালন করে দেশে আসেন। সেই থেকে ফাতেমা বাসাবো কদমতলায় তার বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। আলামিন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। কয়েক দিন আগে স্বামীর বাসায় যান ফাতেমা। গত রাত থেকে আর রবিবার সকাল ৯টার মধ্যে যে কোনও সময়ে তার স্বামী আলামিন তার স্ত্রী ফাতেমাকে গলায় আঘাত করে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে পেচিয়ে রেখেছিল বলে আমরা ধারণা করছি।
স্বামী আলামিনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এসআই।
কুমিল্লা বাংগড়া উপজেলার মোসলে উদ্দিন আহামেদ ও আয়েশা খাতুনের মেয়ে ফাতেমা। বর্তমানে সবুজবাগ থানার পূর্ব রাজাবাজার স্বামীর বাসায় থাকতেন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।