জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আধুনিকায়ন ও ওয়াজেদ মিয়া পাঠাগার সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলমান। এই লাইব্রেরি সবার জন্য উন্মুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নারীদের মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে স্পিকার বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে অধিকতর স্বাবলম্বী হতে পারবে।’
রবিবার (১২ নভেম্বর)স্পিকার তার নিজ নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৬ আসনের অধীন পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. কামরুল হাসান জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মাহজহারুল আলম মিলন ও অন্যান্য সাংবাদিক নেতা এ সময় বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ পরিচালক (যুগ্মসচিব) তারিক মাহমুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পিকার বলেন, ঢাকা ও এর আশেপাশে বসবাসকারী পীরগঞ্জবাসী এবং পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষকে বিপদে-আপদে সব সময় আমি সহযোগিতা করে আসছি। বৃহত্তর রংপুরের অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প একনেকের শেষ সভায় পাস হয়েছে, যা সবার জন্য সুখবর। পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই ভবিষ্যতে সব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মহিলাদের মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্পিকার বলেন, পীরগঞ্জের মহিলাদের মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খুবই যুগোপযোগী। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অর্থনৈতিকভাবে অধিকতর স্বাবলম্বী হতে পারবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আরও করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে সেলাইয়ের মাধ্যমে মহিলাদের উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পরে শানেরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় স্পিকার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, শানেরহাট ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ আজ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সবার ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎ। রোজার মাসে ইফতার ও সেহরির সময়, নামাজেরর সময়, সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সময়, চায়ের দোকান, বাজার সব জায়গায় আজ বিদ্যুৎ সুবিধা। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। সবাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এসেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মো. আজিজুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় মিজানুর রহমান মন্টু ও স্থানীয় নেতারা সভায় বক্তব্য রাখেন।
সবশেষে, স্পিকার বড়দরগাহ কাঁচাবাজার হাটিতে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।