এবারের মার্কিন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের পরাজয়ের জন্য দলটির নেতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন সাবেক মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। শনিবার (৯ নভেম্বর) এই সাক্ষাৎকারটি পুরোপুরি প্রকাশিত হওয়ার কথঅ রয়েছে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পরাজিত হওয়ার কয়েকদিন পর ন্যান্সির এমন মন্তব্যটি এলো।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি পডকাস্ট দ্য ইন্টারভিউতে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ন্যান্সি বলেন, নির্বাচনি দৌঁড় থেকে বাইডেনের সরে আসতে বিলম্ব ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়েই আমরা চলছি।’
পেলোসি বলছিলেন, প্রেসিডেন্ট যদিত আগেই সরে দাড়াতেন তাহলে দলের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য একটি প্রাইমারি ভোট হতে পারতো। তবে তিনি বিলম্ব করায় এবং কম সময়ের মধ্যে কমলার হ্যারিসের নাম ঘোষণা করায়, তিনিও সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেননি। এমনটা না হলে, তারা প্রাইমারি ভোটে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পেতে পারত এবং ভালোভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারতো।
তার বক্তব্যে, ‘প্রেসিডেন্ট যদি তাড়াতাড়ি সরে যেতেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অন্য প্রার্থী থাকতে পারতো। দলের প্রত্যাশা ছিল, প্রেসিডেন্ট সরে দাঁড়ালে একটি উন্মুক্ত প্রাইমারি ভোট হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেমনটা বলে থাকি, কমলা থাকতে পারতো। আমি মনে করি, তিনি এতে ভালো করতে পারতেন এবং আরও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যেতে পারতেন। তবে আমরা সেটি আসলে জানি না। তেমনটি ঘটেনি। যা ঘটেছে আমরা তা নিয়ে চলছি। তাছাড়া, প্রেসিডেন্ট যেহেতু কমলা হ্যারিসকে অবিলম্বে সমর্থন করেছিলেন এবং তখন সত্যিই প্রাইমারি ভোট হওয়া প্রায় অসম্ভব করে তুলেছিল। এটি যদি আরও আগে হতো, তাহলে সবকিছু অন্যরকম হতে পারতো।’
কমলার পরাজয় এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া নিয়ে তিক্ত দোষারোপের খেলায় লিপ্ত হয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পকে ডেমোক্র্যাটরা অবাধে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এমন সময় ন্যান্সি পেলোসির এ ধরণের মন্তব্য একটি বিস্ফোরকের মতো ফেটেছে।
টাইমস বলেছে, ন্যান্সি ‘বাইডেন প্রশাসনের আইনী কৃতিত্ব রক্ষায় প্রচুর পরিশ্রম করেছিলেন। সেগুলোর বেশিরভাগই হয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের প্রথম দুই বছরে যখন তিনি হাউস স্পিকার ছিলেন।’
পেলোসি বাইডেনকে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি করাতে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি প্রেসিডেন্টের আবেগে আঘাত করতে চাননি। আগস্টে নিউ ইয়র্কারকে একটি সাক্ষাৎকারে ন্যান্সি বলেছিলেন, তিনি বাইডেনের ‘রাজনৈতিক কার্যকলাপে এতটাও খুশি ছিলেন না।