রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলায় জোর করে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা ও একটি বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এই ঘটনার পর হাজারীবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মোহন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি ও তার বোনের নামে বসিলায় ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক, যা দীর্ঘদিন তাদের দখলে রয়েছে। কিছুদিন ধরে মো. কবির হোসেন ও তার ভাই মো. মুকুলের নেতৃত্বে মো. সাদেক, মোতালেব হোসেন, আক্তার হোসেন, মো. রিতু, মো. শাকিব, মো. মোহন মো. শাহিন, সোলেমান, রাসেল চৌকিদার, মো. বাবু, মো. রাফি ও মো. সেলিম জমিটি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এদিন ২০ থেকে ২৫ জন জমি দখলের চেষ্টা করে এবং সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরা, সাইনবোর্ড ও গেট ভাঙচুর করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে ভুক্তভোগী আরেক ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন বলেন, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। এরপরও কেন হামলা করলো জানি না। বিষয় নিয়ে থানায় মামলা করেছি। একজন গ্রেফতার হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা হামলা করেছে, তারা সাবেক কাউন্সিলর রাজীবের অনুসারী। কারণ, আমি যখন মামলা করতে থানায় ছিলাম, তখন রাজীব আমাকে ফোন করে বলেছে মামলা না করতে। তিনি সব মীমাংসা করে দেবেন।
এসব বিষয়ে জানতে সাবেক কাউন্সিলর রাজীবকে তার একাধিক মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ঘটনার দিন মাহবুবুর রহমান নামে একজনের জমি দখলের চেষ্টা করছিল দুর্বৃত্তরা। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। পরে আলী হোসেন নামে এক হাউজিং ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা হয়। এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ মোহন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের টিম পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে মোহনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।