বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক তিন থানার আট মামলার মধ্যে পাঁচ মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া মামলাগুলো হলো-রমনা মডেল থানার তিনটি এবং বাড্ডা ও পল্টন থানার একটি করে মামলা। পল্টন থানার তিন মামলায় নথি শুনানি হয়নি। নথি পাওয়ার পর জামিন শুনানি হবে।
আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তারা বলেন, দুদুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যে উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করেছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, আরও পাঁচ মামলায় জামিন পেলে তবেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।
এর আগে এদিন দুপুরে রাজধানীর পল্টন থানার চার, রমনা থানার তিন ও বাড্ডা থানার এক মামলায় শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আট মামলায় দুদুকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার পরপর গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামানের বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগের মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।