বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে, যা গত কয়েক বছরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের মধ্যে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সংহতি ও বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারিধারায় বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বাসভবনে বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণেই আমরা দুই দেশ বহুমুখী কর্মকাণ্ড ও বিনিময়ে যুক্ত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা একে অপরের বিপদে সমর্থন নিয়ে পাশে দাঁড়াই। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সার্চ ও রেসকিউ টিম এবং চিকিৎসা সহায়তাসহ মানবিক সহায়তা পাঠাই। এটি আমাদের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সমর্থনের প্রতীক মাত্র।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করছি।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। এটা জানিয়ে ফারুক খান বলেন, এটি ইতোমধ্যেই এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ভৌগোলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থান এবং বর্তমান সরকারের উদার ও বিনিয়োগবান্ধব নীতির কারণে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।
তিনি বলেন, ইপিজেড ও ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গা দেওয়া, ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রদান, মূলধন ও মুনাফার সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন এবং সার্বভৌম গ্যারান্টি বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের স্বর্গে পরিণত করেছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা চাইলে সেই সুবিধা নিতে পারেন। আমি তাদের বাংলাদেশে পর্যটন, হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।